ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সাধারন বৈশিষ্ট কি? কিভাবে পরিচর্যা পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের রোগ দমন করা যায়?

 

ছত্রাক ব্যাকটেরিয়ার সাধারন বৈশিষ্ট কি? কিভাবে পরিচর্যা পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের রোগ দমন করা যায়?

ছত্রাক ব্যাকটেরিয়ার সাধারণ বৈশিষ্ট্য:

1. কোষ গঠন:

·         উভয়ই এককোষী জীব।

·         কোষ প্রাচীর থাকে।

·         ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।

·         নিউক্লিয়াস থাকে (ছত্রাকের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নিউক্লিয়ার ঝিল্লী থাকে না)

2. পুষ্টি:

·         পরজীবীসহজীবী বা মৃতজীবী হতে পারে।

·         সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে না।

·         জৈব পদার্থ থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে।

3. প্রজনন:

·         অযৌন (বিভাজনবীজাণু) এবং যৌন প্রজনন (যুগ্মন) করতে পারে।

4. বাসস্থান:

·         মাটিপানিবাতাসজীবন্ত মৃত জীবের দেহে বাস করে।

5. ভূমিকা:

·         জৈব পদার্থের বিপাক ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

·         রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

·         খাদ্যঔষধশিল্পে ব্যবহৃত হয়।

পরিচর্যা পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের রোগ দমন:

1. প্রতিরোধ:

·         রোগ প্রতিরোধী জাতের চাষ।

·         সঠিক পরিচর্যা ব্যবস্থা:

o    সঠিক জৈব সার ব্যবহার।

o    জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।

o    আগাছা পরিষ্কার।

o    সঠিক কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার।

2. জৈব নিয়ন্ত্রণ:

·         জৈব কীটনাশক ব্যবহার।

·         সহজীবী জীবাণু ব্যবহার।

3. রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ:

·         ক্ষতিকর প্রভাব কম রাসায়নিক ব্যবহার।

·         রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন।

4. সংস্কৃতি পদ্ধতি:

·         টিস্যু সংস্কৃতির মাধ্যমে রোগমুক্ত চারা উৎপাদন।

5. জীবাণুনাশক ব্যবহার:

·         বীজ মাটি জীবাণুনাশক দিয়ে শোধন।

উল্লেখ্য: পরিচর্যা পদ্ধতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উদ্ভিদের প্রজাতি, রোগের ধরণ, পরিবেশগত ঝুঁকি, এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করা জরুরি।

টিপস:

·         কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

·         রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন।

·         পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন।

এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে উদ্ভিদের রোগ দমন করা সম্ভব এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url