আগাছা দমন
আগাছা দমন
আগাছা হলো
এমন উদ্ভিদ যা কৃষি জমিতে অবাঞ্ছিতভাবে জন্মে এবং ফসলের সাথে প্রতিযোগিতা করে।
আগাছা ফসলের ফলন, গুণমান
ও লাভজনকতা কমিয়ে দেয়। আগাছা দমন কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আগাছা
দমনের পদ্ধতি:
প্রতিরোধমূলক
পদ্ধতি:
- উন্নত
জাতের বীজ ব্যবহার: উচ্চমানের ও আগাছা প্রতিরোধী জাতের
বীজ ব্যবহার করা।
- সঠিক
সময়ে বপন: ফসলের বীজ আগাছার বীজের চেয়ে আগে বপন
করা।
- ঘন
বপন: ফসলের বীজ ঘনভাবে বপন করা যাতে আগাছা
জন্মানোর সুযোগ কম থাকে।
- আবাদি
জমি পরিষ্কার রাখা: আবাদি জমিতে আগাছার বীজ ছড়িয়ে পড়া
রোধ করা।
- মাটির
উর্বরতা বৃদ্ধি: জৈব সার ব্যবহার করে মাটির উর্বরতা
বৃদ্ধি করা।
দমনমূলক
পদ্ধতি:
যান্ত্রিক
পদ্ধতি:
- আগাছা
পরিষ্কার: হাত দিয়ে, কোদাল, বা
আগাছা পরিষ্কারকারী মেশিন ব্যবহার করে আগাছা পরিষ্কার করা।
- মাটি
চাষ: মাটি চাষ করে আগাছার চারা ধ্বংস করা।
রাসায়নিক
পদ্ধতি:
- আগাছানাশক
ব্যবহার: আগাছানাশক ব্যবহার করে আগাছা দমন করা।
- সঠিক
আগাছানাশক নির্বাচন: ফসল ও আগাছার ধরন অনুযায়ী সঠিক
আগাছানাশক নির্বাচন করা।
- আগাছানাশকের
সঠিক ব্যবহার: সঠিক সময়, সঠিক
মাত্রা, এবং সঠিক পদ্ধতিতে আগাছানাশক ব্যবহার
করা।
জৈবিক
পদ্ধতি:
- জৈব
আগাছানাশক ব্যবহার: জৈব আগাছানাশক ব্যবহার করে আগাছা দমন
করা।
- জৈবিক
নিয়ন্ত্রণ: আগাছা দমনের জন্য পোকামাকড় ও রোগ
ব্যবহার করা।
আগাছা
দমনের ক্ষেত্রে সতর্কতা:
- পরিবেশের
ক্ষতি: রাসায়নিক আগাছানাশক ব্যবহারের ফলে
পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। তাই রাসায়নিক আগাছানাশক ব্যবহারের ক্ষেত্রে
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- মানুষের
স্বাস্থ্যের ক্ষতি: রাসায়নিক আগাছানাশক মানুষের
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই রাসায়নিক আগাছানাশক ব্যবহারের
ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
- প্রতিরোধী
আগাছা: বারবার একই রাসায়নিক আগাছানাশক
ব্যবহারের ফলে আগাছা প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে। তাই বিভিন্ন ধরণের আগাছানাশক
ব্যবহার করা উচিত।
উপসংহার:
আগাছা
দমন কৃষিক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্