নতুন খামারিদের জন্য পরামর্শ

 

বিসমিল্লাহির রাহ-মানির রাহীম। পরম দয়াময় আল্লাহ্‌র নামে শুরু করছি।

সম্মানিত সুধীবৃন্দ,

নতুন খামারিদের জন্য  পরামর্শ


নতুন খামারিদের জন্য বহুমাত্রিক পরামর্শ জনিত পোস্ট

যারা নতুন খামার করার উদ্যোগ নিয়েছেন বা নিবেন তাদের জন্য বলছিঃ

First of all,আপনাকে এই বিষয়টি ভালোভাবে ভেবে নিতে হবে, আপনি যা করতে চাচ্ছেন তা আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা।যদি আপনি মনে করেন কাজটি আপনার জন্য Perfect, আপনি সরাসরি খামারের কাজে নিযুক্ত হতে চান তা হলে আপনার জন্য পরামর্শঃ

পরামর্শ :-

১. আপনাকে অবশ্যই গবাদি পশু বিষয়ক তিন মাসের একটি Training নিতে হবে।

২য়:- প্রশিক্ষন শেষে আপনাকে অবশ্যয় অন্যের খামারে কিছু দিন কাজ করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে কেন না।কেন নয় Training শুধু আপনার সহায়ক হিসাবে কাজ করবে।

৩য়:- আপনাকে অবশ্যয় গবাদিপশুর খাদ্য নিরাপত্তা(অর্থাৎ,উন্নত জাতের ঘাসের চাষ) এবং বাসস্থানের সুব্যবস্থা করতে হবে।

৪র্থ:-উপরোক্ত কাজ গুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পর আপনাকে গবাদি পশুপালনের একটি Circle সাজাতে হবে এবং সেই সার্কেলের উপযুক্ত গরু নির্বচন করতে হবে যাতে আপনি খামারের মোনাফা দিয়ে খামার চালাতে পারেন।

৫ম:- আপনাকে দুইটা উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান গাভি নিতে হবে দেখে শুনে ১/২য় বিয়ানের সাথে দুই টা Pregnent ৫/৬ মাসের ফ্রিজিয়ান গাভি নিতে হবেপ্রথম বাচ্ছা দিবে এমন গরু এবং দুই টা ১০/১২বয়সের ফ্রিজিয়ান ভাল মানের বকনা নিতে হবে(দালাল হতে সাবধান)

(সময় স্বল্পতার কারনে)আমি পুরো বিষয়টা explain করে আপনাদের বুঝাতে পারছি না।


২য় পরামর্শ প্রথম দুই টা ভাল মানের গাভি নিবেন সাথে দুই টা ১১/১২মাস বয়সি বকনা দিবেন যখন দেখবেন আপনার গাভি গাভ হয়ছে ও দুধ কমে গেছে দুধের টাকায় খামার চলে না ঠিক সেই মুহুর্তেআপনাকে আরো দুইটি গাভি নিতে হবে যাতে আগের গাভি দুইটি বাচ্ছা দেয়ার আগ পযন্ত পরের গাভির দুধের টাকা খামার চালাতে পারেন।


আল্লাহ্‌রহম করলে ২/৩মাস পর প্রথম দুই টা গাভি বাচ্ছা দিবেন এবং প্রথম কিনা ১১/১২মাস বয়সি বকনা  ও ৩/৪মাস এদিক সেদিক বাচ্ছা দিবে তখন আপনার খামারে এমনিতেই একটা সারর্কেল হয়ে যাবে।

চাকরিজীবী ভাইদের জন্য খামার করার পরামর্শ।

যে সব চাকরিজীবী ভাই মোটামোটি ভাল টাকা ইনকাম করেন।যাদের বাড়িতে কাজ করার মত লোক আছে ছুট ভাই না অন্য কেউ তাদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে।

১ম:- একটা গাভি নিতে হবে ভাল জাত মান দেখেসাথে দুই টা বকনা ১১/১২মাস বয়সেরএবং পরে আরেক টা গাভি নিতে হবে।যাতে খামারের টাকা দিয়ে খামার চালাতে পারেন।

যার স্বল্প বেতনের চাকরি করে তাদের জন্য পরামর্শ।

চাকরির পাশাপাশি-১ম:- আপনারা  ঋন করে গাভি কিনার চিন্ত মাথা থেকে ঝেরে ফেলুন।

আপনারা নিজ নিজ বাড়িতে স্বল্প মূল্যে একটা বা দুই ৯/১০মাসের বকনা কিনে খামার শুরু করেন 

তখন সময় বলে দিবে আপনাকে কি করতে হবে।ছাত্র ছাত্রিদের জন্য পরামর্শ -যারা গ্রাম অঞ্চলের মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য।তোমরা লেখা পড়ার পাশাপাশি একটা দুইটা বকনা বা একট গাভি পালন শুরু কর,যাতে তোমার লেখাপড়ার খরচটা দুধ বিক্রির টাকা থেকে আসে।কোন এক সময় তোমার লেখাপড়া শেষে চাকরি পাওয়ার জন্য অন্যের পেছনে ঘোরতে না হয়।আল্লাহ্‌ চাহেতো তুমি নিজে নিজেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।

গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ।

আপনারা যারা পারিবারিক ভাবে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দেশি গরু পালন করেন।আপনারা ৩/৪টা দেশি গরুর পরিবর্তে একটা উন্নত জাতের একটা গাভি অথবা একটা বকনা পালন করেন।আল্লাহ্‌রহম করেতো ৩/৪বসর পর দেখবেন আপনার  এমনিতেই খামার হয় গেছে ইনশাআল্লাহ্‌।

বেকার ভাইদের জন্য পরামর্শ-

যারা ফ্রেমিলিতে থেকে কিছু পুঁজি নিতে পারবেন।আপনার প্রথমে একটা গাভি নিবেন,যখন দেখবেন আপনার গাভি গাভ হয়ছে দুধ কমে গেছে তখন আরেকটা গাভি নিবেন ইইনশাল্লাহ ২/৩বছরের মধ্যেই আপনি ভাল খামারি হতে পারবেন।

দূর হবে বেকারত্ব।

যারা পড়াশুনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে টিউশনি করে দিন কাটাচ্ছেন তাদের জন্য পরামর্শ।আপনাদের কিছু কিছু করে জমানো টাকা দিয়ে টিউশানির পাশাপাশি একটা দুইটা ভাল জাতের বকনা পালন করেন।২/৩বসর পর দেখেন কি হয়।যারা একেবারেই গরিব কাজের  টাকায় সংসার চলান।আপনারা সমিতি থেকে লোন করে একটা ভাল মানের দুধের গাভি কিনেন, কাজ করে সংসার চালাবেনদুধের টাকায় কিস্তি দিবেন মাসিক।কিছু টাকা বেশি হলে জমা করে রাখবেন।কেন নয় আপনার গাভি যখন গাভ হবে সে কয়েক মাসের মধ্যেই দুধ দেয়া বন্ধ বা কমিয়ে দিবে তখন সেই জমানো টাকা আর গাভির বাচ্ছা টা বিক্রি করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দিবেন। ২/৩ বছর একটু কষ্ট করে দেখেন ইনশাআল্লাহ্‌ এই কষ্ট আর থাকবে না।

পরের অধীনে কাজ করেন(দিনমজুর)তাদের জন্য পরামর্শ :-

আপনাদের কাজের পাশাপাশি একটু কষ্ট হলে ওএকটা উন্নত জাতের গাভি বা বকনা পালন করোন।ইনশাআল্লাহ্‌ বেশি দিন আপনাদের পরের অধীনে কাজ করতে হবে না।

গৃহিণীদের জন্য পরামর্শ :-

আপনারা ঘরের কাজের পাশাপাশি পারিবারিক আয় বৃদ্ধির লক্ষে একটা উন্নত জাতের বকনা পালন করোন। 

প্রবাস আছেন তাদের জন্য পরামর্শ  :-

যদি আপনার বাড়িতে কাজ করার লোক থেকে থাকেতা হলে আপন ভাই বা ছেলে মা বাবা এমন নিজেস্ব কেউ।।তা হলে একটা ভাল মানের গাভি ও সাথে ৩/৪টা উন্নত জাতের বকনা কিনে দেন।এক দুই বসর পর যখন দেখবেন খামার ভাল একটা অবস্থানে আছে তখন আপনি দেশে চলে আসলে ও সমস্যা হবে না।১/২ বছর হয়ছে যারা প্রবাস আছেন তারা বাড়িতে ৩/৪টা ভাল মানের বকনা কিনে দেন ১১/১২মাসের

বকনার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে যখন দেখবেন আপনার সব কটা বকনা গাভ হয়ছে আল্লাহ্‌র রহমতে বাচ্ছা ও দিয়ে ফেলছে তখন আপনি দেশে চলে আসেন,দেশে এসে আরো দুই  টা ভাল মানের গাভ  বকনা , বা ১১/২২মাস বয়সের দুই টা বকনা কিনেন।আশা করি খুব ভাল একটা অবস্থানে যেতে পারবেন।একটা কথা বলে রাখি কেউ আবেগ দিয়ে কিছু করবেন না।বলাটা সহজ করতে একটু কষ্ট করতে হয়।আপনাদের মনে রাখতে হবে এই কাজ করতে হলে মানুষের সমালোচনা শুনার মত মনভল থাকতে হবে।ধয্য শক্তি কঠোর সততা সৎপথে সৎকাজ করে লেগে থাকতে হবে ২/৩টা বছর।যারা প্রথমেই লাভের আশা করবেন তারা এই কাজ থেকে অনেক দূরে থাকবেন।

এখনি সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার।

আমার মতে নিজে বকনা কিনে গাভি বানাতে পারলে বেশি ভাল।।

অনেক কথা বললাম সব কথা লেখায় প্রকাশ করা যায় না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url