বেগুনের ঢলে পড়া রোগ ও প্রতিকার
বেগুনের ঢলে পড়া রোগ
ও প্রতিকার
যে কোনো বয়সের বেগুন গাছই ক্ষেতে গেলে অনেক সময় ঝিমিয়ে ঢলে যেতে দেখা যায়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গাছের কচি পাতা ও ডাটা প্রথমে ঢলে পড়ে। ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক জীবাণু দ্বার এ রোগ হয়।
রোগের লক্ষণঃ
গাছের যে কোনো বয়সে এ রোগ দেখা দেয়।
আক্রান্ত গাছের পাতা ও কান্ড দ্রুত ঢলে পড়ে।
আক্রান্ত গাছ বিকেলে ঢলে পড়ে এবং সকালে সতেজ হয়।
এভাবে ৩-৪ দিন পরও সকালে তাজা না হয়ে গাছ
ঢলে পড়ে এবং সবুজ অবস্থায় মরে যায়।
গাছ মরে না যাওয়া পর্যন্ত পাতায় দাগ পড়ে না।
কান্ডের নিচের অংশ কাটা হলে এর পিথে কালো দাগ দেখা যায় এবং চাপ দিলে তা থেকে ধূসর
বা সাদা তরল আঠালো পদার্থ বের হয়। এই তরলে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া থাকে।
আক্রান্ত গাছের শাখা বা শিকড় কেটে এক গ্লাস পরিষ্কার পানিতে রাখলে ব্যাকটেরিয়ার ক্ষরণ দুধের সাদা সুতার মতো বেরিয়ে আসে।
প্রতিকারঃ
১.
চাষের আগে শতাংশ প্রতি
জমিতে ১ - ২ কেজি চুন ব্যবহার করা।
২.
আক্রান্ত যদি বেশি হয় ঐ জমিতে স্টেবল ব্লিচিং পাউডার শতক প্রতি ৫০০ গ্রাম অবশ্যই জো অবস্থা থাকতে হবে চাষের সাথে মিশিয়ে দিয়ে ২০/২৫ রেখে দিতে হবে।
৩.
সুস্থ চারা রোপন করতে হবে।
৪.
শোধন করে নেওয়া "বায়োডার্মা/বায়োলিড/
ট্রাইকেড্রামা পাউডার " ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম চারা ১৫ - ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা।
৫.
শস্য পর্যায়ক্রম অবলম্বন যেমন বাদাম, সরিষা, ভুট্টা ফসল চাষ করা ।
৬. আক্রান্ত গাছ জমি থেকে তুলে পুঁতে ফেলতে হবে। কার্বন্ডাজিম গ্রূপের ছত্রাক নাশক (অটোস্টিন ২ গ্রাম লিটার প্রতি পানিতে মিশিয়ে ৭/১০ পর পর গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।
৭.
(১০০ গ্রাম পাথরের চুন আলাদা মাটির পাত্রে ১০ লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখে ভালো ভাবে মিশিয়ে সাথে ৫০ গ্রাম এমপি সার পানিতে গুলিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে
৮.
আক্রান্ত গাছের গোড়ায় অল্প করে দিতে হবে এতে দ্রুত কাজ করবে।
অন্যকে পড়ার
সুযোগ করে
দেওয়ার জন্য লেখাটি শেয়ার করে দিবেন।