গর্ভবতী মহিলাদের গ্রীষ্মে অবশ্যই পান করুন
গর্ভবতী মহিলাদের গ্রীষ্মে অবশ্যই পান করুন এই 4টি প্রাকৃতিক পানীয়, জেনে নিন কিভাবে গর্ভাবস্থায় শরীর হাইড্রেটেড রাখবেন
শরীরকে হাইড্রেট করার জন্য প্রাকৃতিক পানীয়: গর্ভবতী মহিলাদের স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে বেশি পানি প্রয়োজন। এই প্রবন্ধে এমন কিছু প্রাকৃতিক পানীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে যার সাহায্যে গর্ভবতী মহিলারা তাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পারেন।
গর্ভাবস্থার জন্য প্রাকৃতিক পানীয়: শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীরে পানির অভাব যেন না হয়। কারণ গ্রীষ্মকালে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে আমাদের শরীর ঘামের আকারে পানি বের করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে শরীরে পানির অভাব খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু একজন সুস্থ মানুষের তুলনায় গর্ভবতী মহিলাদের গরমে তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয় বেশি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন গর্ভবতী নারীর স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে বেশি পানি প্রয়োজন। কিন্তু গর্ভবতী মহিলারা কখনও কখনও কম পিপাসার কারণে পর্যাপ্ত জল পান করেন না। তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক পানীয় রয়েছে, যা মহিলাদের শরীরে পানি পূরণ করতে সাহায্য করে-
1. গর্ভাবস্থায় নারকেল জল
জল ছাড়াও, নারকেল জল গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও খুব উপকারী হতে পারে, যা শরীরে জলের অভাব পূরণ করার পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। নারকেলের পানিতে ইলেক্ট্রোলাইটসহ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী।
2. ফলের রস (গর্ভাবস্থায় ফলের রস)
গ্রীষ্মে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ফলের রস খাওয়া একটি খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। গ্রীষ্মের মরসুমে পাওয়া জলভর্তি ফল যেমন তরমুজ ইত্যাদি খাওয়া গর্ভবতী মহিলাদের শরীরের জন্যও খুব উপকারী হতে পারে, যা অনেক পুষ্টিও সরবরাহ করে।
3. গর্ভাবস্থায় সবজির রস
শসা, টমেটো এবং অন্যান্য গ্রীষ্মকালীন সবজিতে প্রচুর পানি থাকে। এই পানি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই সবজির রস পান করার পাশাপাশি সালাদ আকারেও খান।
4. গর্ভাবস্থায় লেবু জল
গর্ভবতী মহিলাদের একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে বেশি পানির প্রয়োজন হয়, তবে তাদের পিপাসা লাগে না। তাই পানি খেতে পছন্দ না হলে এক গ্লাস পানিতে লেবু ছেঁকে নিতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কী পান করবেন না
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট পানীয় এড়ানোও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় একেবারেই পান করবেন না কারণ ক্যাফেইন শরীরে পানিশূন্যতা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া বাইরে পাওয়া নরম ও কার্বনেটেড পানীয়ও পান করা উচিত নয়।