ডিম সম্পর্কিত এমনই কিছু মিথ ও তথ্য
ডিম খাওয়া কি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়? জেনে নিন ডিম সম্পর্কিত এমনই কিছু মিথ ও তথ্য
কিন্তু
অনেকেই আছেন যারা ডিমের
সাথে সম্পর্কিত কিছু কারণে দূরে
থাকেন। তাহলে চলুন জেনে নিই
ডিম সম্পর্কিত এমনই কিছু মিথ
এবং তার সত্যতা
রবিবার
হোক বা সোমবার, প্রতিদিন
ডিম খান... আমরা সবাই ছোটবেলায়
এই লাইনটি শুনেছি। ডিম অনেকেরই প্রিয়
খাবার। উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ
ডিম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য
অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে এর উপকারিতা
থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ডিম থেকে দূরে
রাখেন এ সংক্রান্ত ভুল
ধারণা ও মিথের কারণে। আপনিও যদি ডিম সম্পর্কিত
পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের একজন হন তবে
নীচে আমরা আপনাকে ডিম
এবং এর সত্যতা সম্পর্কিত
কিছু অনুরূপ মিথ বলছি।
ডিম সম্পর্কে সবচেয়ে সাধারণ পৌরাণিক কাহিনী হল যে তাদের উচ্চ কোলেস্টেরল সামগ্রীর কারণে এগুলি হৃদরোগের জন্য খারাপ। যাইহোক, গবেষণায় দেখা গেছে যে খাদ্যের কোলেস্টেরল রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না। এছাড়াও ডিমের কুসুমে উপস্থিত চর্বি এলডিএল (খারাপ) এবং এইচডিএল (ভাল) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
কাঁচা ডিম খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কাঁচা ডিমে সালমোনেলার মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, যা বমি, ডায়রিয়া এবং জ্বর হতে পারে। ডিম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রান্না করা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে এবং খাওয়ার জন্য নিরাপদ করে তোলে।
ডিমের সাদা অংশ পুরো ডিমের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর।
ঘটনা: ডিম সম্পর্কে আরেকটি মিথ হল ডিমের শুধুমাত্র সাদা অংশই পুষ্টিকর, যখন কুসুমে চর্বি এবং ক্যালোরি বেশি থাকে। তবে, এর বিপরীতে, ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সহ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে যা ডিমের সাদা অংশে পাওয়া যায় না।
ডিম ওজন বাড়ায়।
ঘটনা: কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ডিম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়, কিন্তু গবেষণা অন্যথায় পরামর্শ দেয়। আসলে, ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা মানুষকে পূর্ণ বোধ করতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য এছাড়াও আপনার বিপাক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
সাদা ডিমের চেয়ে বাদামী ডিম স্বাস্থ্যকর।
ঘটনা: অনেকে বিশ্বাস করেন যে সাদা ডিমের চেয়ে বাদামী ডিম স্বাস্থ্যকর। তবে ডিমের খোসার রঙ এর পুষ্টিগুণ বা গুণমানকে প্রভাবিত করে না। বাদামী এবং সাদা ডিমের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল মুরগির জাত যা ডিম দেয়।
মিথ 6- প্রতিদিন ডিম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
ঘটনা: প্রতিদিন ডিম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। বিপরীতে, ডিমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থাকে যা কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে প্রদাহ কমাতে পারে। এছাড়াও ডিম খাওয়া মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম এড়িয়ে চলা উচিত।
ঘটনা: ডিম সম্পর্কিত আরেকটি মিথ হল যে ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম এড়িয়ে চলা উচিত কারণ তাদের কোলেস্টেরলের পরিমাণ রয়েছে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে যে ডায়াবেটিসে ডিমের পরিমিত সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না। এছাড়াও ডিম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।