চুল পড়া রোধে দামি পণ্যের চেয়ে দ্রুত কাজ করে ভাতের পানি, জেনে নিন ব্যবহারের ৪টি উপকারিতা
চুল পড়া
রোধে দামি পণ্যের
চেয়ে দ্রুত কাজ
করে ভাতের পানি,
জেনে নিন ব্যবহারের
৪টি উপকারিতা
চুলের জন্য ভাতের পানি: আপনিও যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন,
তাহলে দামি চুলের যত্নের পণ্য ব্যবহার না করে সিদ্ধ চালের পানি ব্যবহার করুন। আসুন জেনে নিই চুলের জন্য চালের পানি ব্যবহারের উপকারিতা ও পদ্ধতি।
1. চুল পড়া রোধ করুন (চুল পড়ার জন্য ভাতের পানি)
চাল সিদ্ধ করার পর সেই পানি প্রায়ই ফেলে দেওয়া হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন যে জলেও প্রচুর পুষ্টি থাকে। এই পানি চুলে ব্যবহার করলে চুল প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, যার ফলে চুল গোড়া থেকে শক্ত হতে শুরু করে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
2. চুলের চকচকে বাড়ান
(চকচকে চুলের জন্য ভাতের পানি)
আজকাল দূষণ, প্রখর রোদ এবং যত্নের অভাবে সবার চুলে অদ্ভুত শুষ্কতা দেখা দিয়েছে। এমনকি দামি পণ্যও কিছু সময়ের জন্য কাজ করতে পারে এবং চুলের একই অবস্থা হয়। এই ক্ষেত্রে, সিদ্ধ চালের পানি ব্যবহার করা খুব উপকারী হতে পারে, কারণ এটি চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
3. চুলের আঠালোতা
দূর করুন (চর্বিযুক্ত
চুলের জন্য ভাতের পানি)
কারো কারো ত্বক যেমন বেশি তৈলাক্ত, তেমনি কারো কারো চুলেও বেশি আঠালো ভাব থাকে। কুঁচকানো চুল থেকে মুক্তি পেতে সিদ্ধ চালের পানি একটি খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। এই পানি চুলে উপস্থিত অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দূর করে, যার কারণে আঠালো হওয়ার সমস্যা হয় না।
4. চুলের দৈর্ঘ্য বাড়ান
(লম্বা চুলের জন্য ভাতের পানি)
পুষ্টির অভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চুলের দৈর্ঘ্য না বাড়ার কারণ হতে পারে এবং ভাতের পানি চুলের যথেষ্ট পুষ্টি জোগায়। আপনি যদি আপনার চুলের দৈর্ঘ্য না বাড়াচ্ছেন, তাহলে অবশ্যই এই বিশেষ পানিটি ব্যবহার করে দেখুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
চুলের জন্য চালের পানি কীভাবে ব্যবহার
করবেন
চালের পানি চুলের জন্য যতটা উপকারী, ব্যবহার করা ততটাই সহজ। চাল সিদ্ধ করার পর পানি ছেঁকে ঠান্ডা হতে দিন। পানি হালকা গরম হয়ে এলে চুলে ভালো করে লাগান। এই পানি আপনার চুলে কমপক্ষে 20 থেকে 25 মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। চুলে লাগানোর পর রোদে শুকাবেন না। এছাড়াও, এটি ব্যবহার করার আগে পুরানো কাপড় পরেন।