পেঁপে বীজের উপকারিতা

পেঁপে  বীজের উপকারিতা


পেঁপে  বীজের উপকারিতা

পেঁপে স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি গুণে পরিপূর্ণ। পাচনতন্ত্রের উন্নতির জন্য, পেঁপে খাওয়া বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয়। পেঁপের অনেক উপকারিতা আপনিও জানেন, কিন্তু পেঁপের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কিকালো মরিচের দানার মতো দেখতে পেঁপের বীজ স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। এগুলোতেও পেঁপের মতোই রয়েছে অঢেল ঔষধি গুণ। অজান্তেই আমরা পেঁপের বীজকে অকেজো বলে ফেলে দিই, কিন্তু পরের বার যখনই পেঁপের বীজ দেখবেন, তখন অবশ্যই এর উপকারিতা একবার মনে পড়বে।

পেঁপে এমনই একটি ফল যা সারা বিশ্বে সহজেই পাওয়া যায়। গবেষণায় এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে নিয়মিত পেঁপের বীজ খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বীজযুক্ত এবং বীজহীন পেঁপেই বাজারে পাওয়া যায়, তবে যে পেঁপের ভিতরে বীজ থাকে তা বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। আজ আমরা আপনাদের জানাচ্ছি পেঁপের বীজের উপকারিতা সম্পর্কে।

পেঁপের বীজের উপকারিতা

1. হজম - যেমন পেঁপে পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী, তেমনি পেঁপের বীজও হজমশক্তির উন্নতিতে সাহায্য করে। হজম সংক্রান্ত সমস্যার জন্য আপনি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় পেঁপের বীজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

2. লিভার- পেঁপের বীজ আমাদের লিভারের জন্যও খুব উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে, পেঁপের বীজ দিয়ে লিভার সিরোসিসের চিকিত্সাও জানা গেছে। পেঁপের বীজ যেকোনো উপায়ে নেওয়া যেতে পারে। মিহি করে পিষে পাউডার বানিয়েও খাওয়া যায়।

3. প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ - পেঁপের বীজ একটি প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধক হিসাবে কাজ করে। পেঁপের বীজ একটি ভাল এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে যদি দম্পতি গর্ভবতী হতে না চান এবং এটি এড়াতে ওষুধ খেতে না চান। তবে এটি গ্রহণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

4. কিডনি আপনি যদি কিডনির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তাহলে পেঁপের বীজ এর জন্য উপকারী হতে পারে। এটি কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনি সুস্থ রাখতে দিনে 7 বার পেঁপের 7 টি বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এগুলো চিবিয়েও খাওয়া যায়।

5. ওজন - ওজন বৃদ্ধির কারণে সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্য ওজন কমাতে পেঁপের বীজ একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। পেঁপের বীজ শরীরের চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে।

6. ডেঙ্গু জ্বর - পেঁপের বীজ খেলেও ডেঙ্গু জ্বরে উপশম হয়। যদি কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং সে পেঁপের বীজ খেলে তার রক্তের কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

7. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:

পেঁপের বীজে প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, বিশেষ করে ওলিক অ্যাসিড। তারা খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে বর্ধিত কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। 

8.জ্বালাপোড়া এবং ফোলাতে সহায়ক:

ত্বকের জ্বালাপোড়া থাকলে পেঁপের বীজও ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের কোনো অংশে ফোলাভাব থাকলেও পেঁপের বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি ত্বকের জ্বালা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

এটা কোনোভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

 

 

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url