উদ্ভিদ পুষ্টির ফাংশন।

উদ্ভিদ পুষ্টির ফাংশন (Function of Plant Nutrient)

কার্বনের কাজ:-
১.উদ্ভিদের টিস্যু গঠনে সহায়তা করে।
২. প্রোটিন ও ফ্যাট সংশ্লেষন করে ।
৩. উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও উন্নয়নে শক্তি প্রদান করে।
৪.শর্করা তৈরিতে সহায়তা প্রদান করে ।
৫. প্রত্যেক জীবের দৈহিক গঠনের অন্যতম উপাদান ।
৬. ক্লোরোফিল গঠনে সহায়তা করে ।

হাইড্রোজেনের কাজ:-
১. শর্করা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।
২. উদ্ভিদ প্রোটিন ও চর্বি সংশ্লেষন করে।
৩. উদ্ভিদের শুষ্ক দ্রব্যের অন্যতম উপকরন।
৪. পানি গঠনের প্রধান উপাদান ।
৫. পানি সহ কোন উদ্ভিদের ওজনে ৫২% হাইড্রোজেন।

অক্সিজেনের কাজ:-
১. উদ্ভিদের কোষ কলা গঠনে সহায়তা করে ।
২. শর্করা তৈরিতে সহায়তা করে ।
৩. উদ্ভিদের শ্বসন প্রক্রিয়াই বায়ু মন্ডলের অক্সিজেন ব্যবহৃত হয় ।
৪.প্রোটিন সংশ্লেষনে সহায়তা করে ।
৫. বীজের অংকুরোদগমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানকে গ্রহনযোগ্য আকারে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করে।

নাইট্রোজেনের কাজ:-
১.দানা জাতীয় ফসলে অধিক কুশী হয় ।
২. উদ্ভিদের পাতাকে গারো সবুজ করে।
৩. ক্লোরোফিল গঠনে সহায়তা প্রদান করে ফলে জীবনি শক্তি বাড়ে ।
৪. দানা জাতীয় ফসলে পুষ্টিতা বাড়িয়ে আমিষ বৃদ্ধি পায় ।
৫. উদ্ভিদের শরীরতাত্বীক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে ফুল ও ফলের আকার বড় হয় ।
৬.শাকসবজি জাতীয় গাছে অধিক পরিমাণ পাতা বৃদ্ধি পায় ।
৭. গাছের দেহ নরম ও শাসালো করে।
৮. ফসফরাস ও পটাশিযামের কাজ আনেকটা পুরন করে।
৯. গাছের বৃদ্ধিকারক হরমোন তৈরি করে যা জীবনচক্রের জন্য আবশ্যক।
১০. বিভিন্ন প্রকার হরমোন তৈরি করে।
১১. মুলরোমের ক্যটায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।

ফসফরাসের কাজ:-
১. উদ্ভিদদেহে জৈবানিক কার্যক্রমে সহায়তা করে ।
২. কোষবিভাজন স্নেহজাতীয় পদার্থ সংশ্লেষনে সহায়তা করে ।
৩. মুলজাতীয় ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ।
৪. ফসফরাস অল্প সময়ের ব্যবধানে পরিপক্কতা আনে।
৫. গাছের কান্ড শক্ত করে নেতিযে পরা রক্ষা করে ।
৬. উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে থাকে।
৭. এটা উদ্ভিদ কোষ ও নিউক্লিয়াসের প্রয়োজনীয় উপাদান ।
৮. ADP-ATP- RNA DNA এল বিশিষ্ট উপাদান ।
৯. উদ্ভিদের অধিক পরিমাণ ফল ধরায় বর্ন উজ্জ্বল করে রসালো মিষ্টতা ও স্বাদ বৃদ্ধি করে।
১০. বীজের অন্কুরোদগমের হার ফসফরাস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে।
১১. দানাজাতীয় ফসলে শস্যের দানা বৃদ্ধি পায় ও খরের অনুপাত কমায়।

পটাশিযামের কাজ:-
১. দানাজাতীয় ফসল পুষ্ট হতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. অকালে ফল ঝরা বন্ধ পরে রং উজ্জ্বল ও গুনাগুন বৃদ্ধি করে।
৩.মূল কান্ড শাখা প্রশাখা শক্ত করে।
৪. আঁশজাতীয় ফসলে আশ লম্বা শক্ত ও দৃঢ় করে।
৫. উদ্ভিদ দেহের বিভিন্ন অংশে খাদ্য সন্ঞায় সহায়তা করে।
৬. উদ্ভিদ দেহে পানি ধারন ও খরা প্রতিরোধ ভূমিকা পালন করে।
৭. শর্করা অন্যান্য খাদ্য উপাদানের বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
৮. মুলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কোষে বিভাজন হার বৃদ্ধি করে।
৯. শিম জাতীয় উদ্ভিদে শিকর নাইট্রোজেন বন্ধন দৃঢ় করে।
১০. কোষ বিভাজনের হার বৃদ্ধি পায় ।

ক্যালসিযাম এর কাজ:-
১.কোষ বিভাজনে সহায়তা করে।
২. মাটির গঠন উন্নত করে বায়ু চলাচলে সহায়তা করে।
৩. উদ্ভিদে মূলের জন্ম বৃদ্ধি ও বিস্মৃতি ত্বরান্বিত করে।
৪. পটাশিযাম, ম্যাগনেসিযাম বোরনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৫. মাটিতে ফসফেট আবদ্ধ হওয়া রক্ষা করে।
৬. ক্যালসিয়ম সমৃদ্ধ মাটিতে লেবু জাতীয় গাছ ভালো হয় ।
৭.মাটির অতিরিক্ত অম্লত্ব কাটিয়ে দেই।
৮. ঊদ্ভিদের কোষপ্রাচীর শক্ত করে মাটি হতে বিষাক্ততা গ্রহনে হার মানায় ।
৯.খাদ্যে ক্যালসিয়ম পরিমাণ বৃদ্ধি করে
১০. নাইট্রোজেন থেকে আমিষ তৈরিতে সহায়তা করে।
১১.ফল ও ফুলের সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ।

ম্যাগনেসিযামের কাজ:-
১.গাছের ভিতর ফসফরাস বাহক হিসাবে কাজ করে ।২.গাছের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান গ্রহন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩.গাছের সবুজ পাতা গঠনে সহায়তা করে।
৪.বিভিন্ন অংশে শ্বেতসার চলাচলে সহায়তা করে।
৫.চর্বি ও শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরিতে সহায়তা করে।
৬. সালোকসংশ্লেষনের হার বৃদ্ধি করে।
৭.তৈলবীজ শস্যের বীজে তেলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ।
৮. শ্বসন প্রক্রিয়ার কো-এনজাইম হিসাবে কাজ করে ।

জিংক বা দস্তার কাজ:-
১.দানা ও ফল জাতীয় উদ্ভিদে দস্তা বিশেষভাবে প্রয়োজন ।
২. দস্তা ফুল ফোটাতে ও ফল গঠনে সহায়তা করে ।
৩.গাছের সবুজ কনিকা গঠনে সহায়তা করে ।
৪.ফসফরাস, নাইট্রোজেন ও পটাশিযাম গ্রহনে দস্তা সহায়তা করে ।
৫.ফসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৬.ফসলের হরমোন কার্যকারিতা সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।
৭. প্রোটিন সংশ্লেষনে ভুমিকা পালন করে ।
৮.উদ্ভিদের বিভিন্ন মেটাবুলিক কাজে সহায়তা করে ।
৯. পিয়াজ মোটরের ফলন বৃদ্ধি করে

ক্লোরিনের কাজ:-
১.গাছের জলীয় অংশের পরিমাণ ও ভারসাম্য রক্ষা করে ।
২.সালেকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন উৎপাদনে সহায়তা করে ।
৩.ক্লোরিন গাছের কোষগুলির শর্করা তৈরিতে সহায়তা করে ।
৪.ফুল ও ফলের রং উজ্জ্বল করে।
৫.কোষে পানি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

লৌহের কাজ:-
১.গাছের আমিষ ও অন্যান্য দরকারি রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে ।
২.লৌহ নীল সবুজ শ্যাওলা ও অন্যান্য জীবানুকে বায়ুমন্ডলের নাইট্রোজেন আবদ্ধ করতে সহায়তা করে ।
৩.লৌহ সালোকসংশ্লেষনে সহায়তা করে ।
৪. নাইট্রোজেন শোষনে সহায়তা করে গাছের পাতায় সবুজ কনিকা তৈরিতে সহায়তা করে ।
৫.বিভিন্ন জারক রসকে ক্রিয়াশীল রাখার জন্য প্রভাবক হিসাবে কাজ করে ।
৬.বিভিন্ন জারন বিজারন প্রক্রিয়ায় ভুমিকা রাখে।
৭.উদ্ভিদ শ্বসন প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন বাহক হিসাবে কাজ করে ।
৮.লৌহ উদ্ভিদ কোষের সাইট্রোকোষের একটি গঠনকারী উপাদান ।

সালফার বা গন্ধকের কাজ:-
১.শিকরে নাইট্রোজেন আবদ্ধকরন গুটি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
২. তৈল জাতীয় ফসলের তৈল উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
৩. গাছকে সবুজ রং রক্ষায় সহায়তা করে ।
৪. গাছের শিকর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
৫. দানা জাতীয় ও অন্যান্য ফসলে আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৬. সালফার উদ্ভিদের বীজ উৎপাদনে সহায়তা করে।
৭. বিভিন্ন এনজাইমের কার্যাবলী বৃদ্ধি করে।
৮. সীম জাতীয় উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান পরিশোষন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৯.সিস্টিন ও মিথিওযিন ইত্যাদি এমাইনো এসিড এর উপাদান সালফার।
১০. সরিষা,পিয়াজ ও তামাক জাতীয় ফসলের ঝাঝ গঠন করে ।

বোরনের কাজ:-
১.নাইট্রোজেন আত্মীকরনে সহায়তা করে ।
২.গাছের মধ্যে শ্বেতসার চলাচলে সহায়তা করে ।
৩.গাছের ক্যালসিয়ম ও পটাশিযামের অনুপাত নিয়ন্ত্রণ করে।
৪. বোরন গুটি জাতীয় ফসলে শিকরে গুটি গঠন করে ।
৫. প্রোটিন সংশ্লেষন কোষপ্রাচীর গঠনে সহায়তা করে।
৬. গাছে ফুল ফল ধরতে সহায়তা করে।
৭. উদ্ভিদের কোষ প্রাচীর শক্ত করে।
৮. উদ্ভিদের কোষ ঝিল্লি গঠনে সহায়তা করে ।
৯. উদ্ভিদ দেহে চিনি চলাচলে সহায়তা করে ।
১০. উদ্ভিদের অত্যাবশ্যকয় অন্যান্য উপাদান গঠনে সহায়তা করে ।
তামার কাজ:-
১.গাছকে স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
২. গাছের ফুল ফলে উজ্জ্বলতা দান করে ।
৩.গাছের পাতায় সবুজ কনিকা শ্বেতসার গঠনে সহায়তা করে ।
৪. ফসলের দানাবীজ পূষ্ট হতে সাহায্য করে ।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৬.উদ্ভিদের হরমোন কার্যকারিতার সহায়ক ।
৭.জারক এনজাইমের কো- ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
৮.উদ্ভিদের দেহে ভিটামিনের সি তৈরিতে সহায়তা করে।

ম্যঙগানিজের কাজ:-
১. তামাক ও টমেটোর ফলন বৃদ্ধি করে।
২. শস্যের আমিষ গঠনে সহায়তা করে।
৩.গাছে নাইট্রোজেন রূপান্তরে সহায়তা করে।
৪.শস্য আমিষ তৈরিতে সাহায্য করে।
৫.এনজাইম সংশ্লেষনে ভূমিকা রাখে।
৬.শ্বসন কাজে প্রভাবক হিসাবে কাজ করে।

মলিবডেনামের কাজ:-
১.গাছের অভ্যন্তরে শ্বেতসারের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।
২.আমিষ বিপাকে সহায়তা করে।
৩.উদ্ভিদের নাইট্রোজেন গ্রহন করতে ও মাটিতে নাইট্রোজেন আবদ্ধ করতে সহায়তা করে।
৪. লৌহ পরিশোষন ও স্থানান্তরিত হতে সহায়তা করে।
৫. নাইট্রোজেন বন্ধনকারী অনুজীবের কার্যাবলী বৃদ্ধি করে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url