গোড়া পচা রোগ

 

গোড়া পচা রোগ





গোড়া পচা রোগ/ ডেমপিং অফ

*রোগের কারণ: ছত্রাক

*ক্ষতির ধরণ :

চারার গোড়া বা শিকড় পচে ঢলে পড়ার মাধ্যমে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে বাদামি বর্ণের পানিভেজা দাগ দেখা যায়। আক্রমণের দুই দিনের মধ্যে চারা গাছটি ঢলে পড়ে ও আক্রান্ত অংশে তুলার মতো সাদা মাইসেলিয়াম দেখা যায় ও অনেক সময় সরিষার মত ছত্রাকের অনুবীজ পাওয়া যায়। চারা টান দিলে সহজে মাটি থেকে উঠে আসে।

*ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা;

*ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : শিকড়, গোঁড়া;


*ব্যবস্থাপনা :

জমি শেষ চাষের সময় বিঘা (৩৩ শতাংশ) প্রতি ৮-১০ কেজি  ট্রাইকোডার্মা সমৃদ্ধ "বায়োডার্মা সলিড" মাটিতে ছিটিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে।

আক্রান্ত গাছের ক্ষেত্রে ৩-৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা সমৃদ্ধ "বায়োডার্মা পাউডার" এক লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান, মাটিসহ গাছের গোড়া ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে।

এছাড়া ধানের ব্লাস্ট, ধানের সিথ ব্লাইট, ঢেঁড়শ ও পুঁইশাক -এর সারকোসপোরা লিফ স্পট, মরিচের এনথ্রাকনোজ, শিম ও চায়ের রেড রাস্ট, ফিউজেরিয়াম উইল্ট, চারা গাছের ঢলে পড়া, কলার সিগাটোগা, বেগুনের স্টেম ব্লাইট ইত্যাদি রোগ দমনে জৈব বালাইনাশক "বায়ো-শিল্ড" ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে পুরো গাছে স্প্রে করে দিতে হবে।


*পূর্ব-প্রস্তুতি :

একই জমিতে বার বার কপিজাতীয় ফসল চাষ করবেন না। দিনের বেশির ভাগ সময় ছায়া পড়ে এমন জমিতে কপিজাতীয় ফসল চাষ করবেন না। পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈব সার প্রদান করুন। পানি নিস্কাশনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন।  লাল মাটি বা অম্লীয় মাটির ক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি চার কেজি হারে ডলোচুন প্রয়োগ করুন (প্রতি তিন বছরে একবার)।

ধানের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রাম "বায়োডার্মা পাউডার" ১ কেজি বীজ জাগ দেওয়ার পূর্বে ভেজানোর সময় শেষবারের পানিতে মেশাতে হবে।

সবজির ক্ষেত্রে ৫ গ্রাম "বায়োডার্মা পাউডার" ১০ গ্রাম বীজের সাথে পেস্ট করে মিশিয়ে নিতে হবে।

চারা শোধনের ক্ষেত্রে "বায়োডার্মা পাউডার" ১০ গ্রাম প্রতি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে চারার শিকড় ১০ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে।

"আসুন বিষমুক্ত ফসল আবাদ করি, সুন্দর পৃথিবী গড়ি"

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url