কৃষি ব্যাংক লোন Krishi Bank Loan

কৃষি ব্যাংক লোন Krishi Bank Loan
কৃষি ব্যাংক লোন Krishi Bank Loan

     কৃষি ব্যাংক লোন Krishi Bank Loan

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে উন্নত কৃষি ব্যবস্থার বিকল্প নেই।এ বিষয়টি গুরত্ব বিবেচনায় নিয়ে সরকার বিভিন্ন রকম উদ্দ্যেগ গ্রহন করে থাকে, যার ফলশ্রুতিতে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন স্বয়ংসম্পুর্ণ অর্জন করে। মৎস, প্রাণিসম্পদ, সবজি, ফল উৎপাদন আজ বিশ্ব দরবারে অবস্থান উন্নীতি হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য দারিদ্র বিমোচন সহজতর হচ্ছে এবং মাথাইপছু আয় উন্নয়ন ঘটছে। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সাধারণ জনগণের জীবন মান উন্নয়ন ঘটান সম্ভাব। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়নের জন্য দারিদ্র বিমোচন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রয়োজনিয় পুষ্টি উৎপাদন সরবারাহ এবং সকল প্রকার শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি কারার জন্য সরকার জাতীয় কৃষি নীতি প্রণয়ণ করে । সরকার কর্তৃক অষ্টম পঞ্চবার্ষিক (জুলাই,2020 থেকে জুন,2025) কৃষিখাতে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মৎস, ফলমূল, সবজি, দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানীর প্রতি গুরত্ব প্রদান করে।

 

বিকাশ লোন সম্পর্কে পড়ুন

কৃষি খাতকে সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ব্যংক কৃষি খাতকে সহয়তা প্রদান করছে। কোভিড-১৯ মহামারী কারণে সৃষ্ট সংকটে কৃষিখাতে সহয়তাই বাংলাদেশ ব্যংক ৫00000 (পাঁচ হাজার কোটি ) টাকা একটি বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।ব্যংক সমুহের মাধ্যমে সিংহভাগ অর্থ ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের স্বল্পসুদে (৪% হারে) শস্য ও ফসল খাতে লোন প্রদান করতে ব্যাংকসমুহকে নির্দেশনা প্রদান করেছে।

 


কৃষি ব্যাংক ঋণ ব্যবস্থা। কৃষি ব্যাংক ঋণের নাম শুনলেই কৃষকদের কথা মাথায় আসে। হ্যাঁ, কৃষক। বাংলাদেশের অর্থনীতির সঙ্গে কৃষি ও কৃষক তপ্রোতভাবে জড়িত। কৃষি ছাড়া বাংলার অর্থনীতি কল্পনা করা যায় না। আজ আমরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করব। কৃষি ব্যাংক কিভাবে ঋণ দেয় এবং এর ঋণের পদ্ধতি কি কি এবং এর উদ্দেশ্য কি।


 

যে বিষয় গুলি  বিবেচনা করে অগ্রধিকার প্রদান করে হয় ঋণের জন্য।
·         কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
·         অসহায়, দরিদ্র, শিক্ষিত, উদ্যোমী ও উদ্যোক্তা কৃষকদের অগ্রাধিকার প্রদান করে।
·         শারীরিক প্রতিবন্ধিদের অনুকৃল ঋণ প্রদানে অগ্রধিকার প্রদান করে।


 

কৃষি ঋণ গ্রহীতার যোগ্যতা।

কৃষি কাজে সরাসরি নিয়োজিত এমন প্রকৃত কৃষকগণ কৃষি ঋণ পাইবার যোগ্য বলে বিবেচনা হইবে।গ্রাম অঞ্চলে আয় কর্মকাণ্ডে জড়িতরাও কৃষিও পল্লী ঋণের সুবিধা পেতে পারেন। তবে ঋণ খেলাপি গণ নতুন করে ঋণ পাবেন না। উল্লেখ্য ক্ষুদ্র , প্রান্তিক কৃষক, ভুমিহীণ, বর্গচাষিদের একক ও দলবদ্ধভাবে কৃষি ঋণ সহজ পদ্ধিতিতে পেতে পারেন। দলবদ্ধভাবে ঋণ পেতে গেলে ব্যাংক তার নিজেস্ব নীতি মালা অনুসারণ করতে পারে।

 


কৃষি ব্যাংক ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় নথির তালিকা
পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
এন আই ডি কার্ডের ফটোকপি।
জমির পরিমাণ।
পূর্ববর্তী নথি ইত্যাদি।

 



কৃষি ব্যাংকের ঋণ সুবিধার প্রধান খাত গুলি ।

শস্য ঋণ।
মাছ চাষে ঋণ।
পশুসম্পদ ঋণ।
কৃষি যন্ত্রপাতি ঋণ।

 


কৃষি ব্যাংক শস্য ঋণ।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শস্য উৎপাদনে সহায়তা করে। ফসল বা শস্যক্ষেত্রে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। এর মধ্যে শস্য ঋণ অন্যতম।


 

বিকাশ লোন সম্পর্কে পড়ুন


শস্য ঋণের সুবিধা ও শর্তাবলী।

সি আইবি রিপোট অনুসারে ঋণ প্রদান করবে।

কৃষি ব্যাংক শস্য ঋণ প্রদান করে। কৃষি ব্যাংকের এই ঋণের উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হল;

বার্ষিক ঋণের জন্য বরাদ্দকৃত মোট ঋণের প্রায় ৬0 শতাংশ ফসলের জন্য বরাদ্দ করা হয়।

এতে সব ধরনের ফসল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সব কিছুরই কিছু নিয়ম আছে।

আর কৃষি ব্যাংকগুলো তাদের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ দিয়ে থাকে। বর্তমান ৮ শতাংশ সুদ। এটি পরিবর্তনযোগ্য। কৃষকরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। ঋণ বার্ষিক মঞ্জুর করা হয়. ঋণগ্রহীতা কে একটি ক্রেডিট পাস বই দেওয়া হয়।

 

কৃষি ব্যাংকের মৎস্য ঋণ

কৃষি ব্যাংক মাছ ঋণ প্রদান করে। মৎস্য চাষের জন্য ঋণ দেওয়া হয়।

পুকুর খনন।

পুকুর পুনরায় খনন করা।

জলাভূমি উন্নয়ন নিশ্চিত করা।

মাছের হ্যাচারি।

নতুন মৎস্য প্রকল্পের জন্য ঋণ প্রদান।

মাছ চাষে ঋণ।

পুকুরে মাছ চাষ।

নতুন পুকুর খনন করে মাছ চাষ।

পুরাতন পুকুর খনন করে মাছ চাষ।


 

কৃষি ব্যাংক থেকে চিংড়ি চাষ ঋণ।

বাগদা চাষ।

বাঘ চিংড়ি চাষ।

বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চিংড়ি চাষ।

মিঠা পানিতে চিংড়ি চাষ।

 

 

কৃষি ব্যাংকের প্রাণিসম্পদ ঋণ

পশুসম্পদ ঋণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ। এটি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অন্যতম প্রকল্প। ষাঁড় পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, ছাগল পালন, মুরগি পালন ইত্যাদির জন্য কৃষি ব্যাংক এই ঋণ প্রদান করে।

 

 

গরু মোটাতাজাকরণ কর্মসূচি।

দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গরু মেটাতাজল একটি প্রকল্প।

 


কৃষি ব্যাংকের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য

কৃষি ব্যাংকের এই প্রকল্পের পেছনে কিছু মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

বেকারদের স্বয়ংসম্পূর্ণতার সুযোগ। লালসা পূর্ণতা। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। অনুষ্ঠানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।


কৃষি ব্যাংকের প্রধান দিক।

কৃষি ব্যাংক ঋণ বিতরণের কিছু মৌলিক দিক রয়েছে। নিচে কৃষি ব্যাংকের মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।

 

সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা, এবং ঋণ নিরীক্ষণ. গ্যারান্টি প্রদানে ব্যাংক কর্মকর্তার কার্যক্রম। প্রতি বছর সর্বোচ্চ ২৫000 হাজার ঋণ হবে।

 


যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন.

কৃষি ব্যাংক কৃষি ব্যাংকে আবেদন করার জন্য কিছু কাগজপত্র চাইবে। ঋণ নেওয়ার আগে এগুলো ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হয়। অবস্থা শুধু কৃষি ব্যাংকের নয়। অন্যান্য ব্যাংকের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

 

১.গ্রাহক জাতীয়তা শংসাপত্র (NID কার্ড) বা স্মার্ট কার্ড

২.কৃষি কার্ড

৩.পাসপোর্ট সাইজের ছবি 3 কপি।

৪.গ্যারান্টার হবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র/স্মার্ট কার্ড এবং  কপি ছবি।

 


চার্জ নথি

১. ডিপি নোট স্ট্যাম্প (সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী)

২. হাইপোথিসিসের চিঠি (কোন স্ট্যাম্পের প্রয়োজন নেই)

. বিতরণ পত্র

. প্রেসক্রিপশন

5. শস্য বন্ধক দলিল

. জমিদাতার দ্বারা জারি করা গ্যারান্টির চিঠি।

 


আবেদন প্রক্রিয়াকরণ ফি

কৃষকের আবেদনে, সহজ শর্তে একটি ব্যাংক শাখায় মাত্র ১০টাকা প্রাথমিক জমার মাধ্যমে  একটি সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলা হবে । এ ধরণের সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে ১ লাক্ষ টাকা পর্যন্ত স্থতির জন্য কোন আবগারী শুল্ক/লেভি কর্তন করা হয় না । এ হিসাব গুলোর কোন রকম চার্জ বা ফি আরোপ হয় না । সকল প্রকার কৃষি পল্লী ঋণের জন্য নির্ধারিত সুদ ব্যতীত অন্য কোন প্রকার চার্জ, প্রসেসিং ফি/ মনিটরিং ফি ইত্যাদি নামে কোন পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয় না।

 


গ্যারান্টার সম্পর্কে তথ্য
১.স্থানীয় চেয়ারম্যান/সদস্য/স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে গ্যারান্টার হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।
 ২.সরকারি-বেসরকারি স্কুল/কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের গ্যারান্টর হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।

বিকাশ লোন সম্পর্কে পড়ুন


ধন্যবাদ সকল কে

আমিন


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url