কাউফল


কাউফল।


কাউফল।

 আমাদের দেশ থেকে অনেক ফল হারিয়ে যেতে বসেছে। এর মধ্যে কাউফল হলো একটি। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে  এই ফলের পরিচয় তেমন নেই।  টেনিস বলের মতো গোলাকার আকৃতির। কাঁচা অবস্থায় সবুজ রংয়ের এবং পাকলে হলুদ বা কমলা রং ধারণ করে। স্বাদে টক জাতীয়। বনে-জঙ্গলে এর গাছ বেশি দেখা যায়। তাই কাউফলকে অনেকে বুনো ফল হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

 

ইংরেজি নাম Cowa (mangosteen), বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia cowa Roxb, এক ধরনের অপ্রচলিত টক স্বাদের ফল। এর অন্যান্য নাম হলোকাউয়া, কাগলিচু, তাহগালা, ক্যাফল, কাউ-গোলা ইত্যাদি। এর গাছ মাঝারি আকৃতির , ডালপালা কম, উপরের দিকে ঝোপালো। গাছের রঙ কালচে   সাধারণত জঙ্গলে এই গাছ দেখা যায়। ফলের আকার লিচুর সমান বা সামান্য বড় হয়।

 

 

 কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ এবং পাকলে কমলা বা হলুদ হয়। ফলের ভেতর চার-পাঁচটি দানা বা বিচি থাকে। দানার সাথে রসালো ভক্ষ্য অংশ থাকে, যা চুষে খেতে হয়। কাউ খেলে দাঁতে হলদেটে কষলেগে যায় বলে ফলটি জনপ্রিয় নয়। 

 

আমাদের দেশ ছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে কাউ গাছ দেখা যায়। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও কাউ দিয়ে জ্যাম তৈরি করা হয়।সারাদেশে অল্পবিস্তর কাউফলের দেখা মেলে। তবে সিলেট, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়ি রাঙামাটিতে কাউফলের দেখা মেলে বেশি। পিরোজপুর বাগেরহাট অঞ্চলেও ফল জন্মে। অনেক গৃহস্থ বাড়ির লোকজন শখ করেও দুই একটি গাছ লাগায়। প্রাকৃতিকভাবে বীজ থেকে এর চারা হয়ে থাকে। তবে এর বাণিজ্যিক আবাদ নেই।

 

গাছে ফুল ধরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। আর ফল পাকে জুন-জুলাই মাসে। ফল গোলাকার, অনেকটা টেবিল টেনিস আকৃতির কিন্তু খাঁজযুক্ত। কাঁচা অবস্থায় সবুজ ফল পাকলে হলুদ বা কমলা বর্ণ ধারণ করে। ফলের ভিতরে চার-পাঁচটি দানা থাকে। ফল পাকার পর এই দানা চুষে খেতে হয়। বীজযুক্ত এসব দানা রসালো মুখরোচক। ফল হিসেবে সরাসরি খাওয়া ছাড়াও জ্যাম-জেলি করেও সংরক্ষণ করা যায়।

 

 কাউফলে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য অধিক উপকারী। এছাড়া কপার, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ম্যাগনেশিয়াম যা শরীরের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে খনিজ পটাসিয়াম যা হৃদস্পন্দনে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ, স্ট্রোক হার্ট রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা করে। সর্দিজ্বর ঠাণ্ডা প্রশমনে বিশেষ কার্যকর। ফল অরুচিও দূর করে।

কাউফল।


কাউফলে যে সব উপাদান রয়েছে

 

ক্যালসিয়াম: .৫৯ মিলিগ্রাম . %

শর্করা: ১৫. গ্রাম; ১২%

কপার: 0.00৬৯ মিগ্রা; %

প্রোটিন : 0.৫০ গ্রাম; %

 

আয়রন: 0.১৭মিলিগ্রাম; %

 

মোট ফ্যাট: 0. গ্রাম ; 2%

 

ম্যাগনেসিয়াম: ১৩.১৯ মিলিগ্রাম; .%

 

ম্যাঙ্গানিজ :0.১০ মিলিগ্রাম; %

 

ফাইবার :.১০ গ্রাম ; ১৩%

 

ফসফরাস: .২১ মিলিগ্রাম; %

 

ভিটামিন জিংক: 0.১২ মিলিগ্রাম %

 

folates :31 μg 8% Phyto-nutrients

 

Niacin: 0.২৮৬ মিলিগ্রাম %

 

Carotene:-a 1 µg

 

প্যানটোথেনিক: Carotene-ß 16 µg

 

অ্যাসিড: 0.00৩২ মিলিগ্রাম %

 

Cryptoxanthin:-ß 9 µg

 

পাইরিডক্সিন: 0.00৪১ মিলিগ্রাম 3%

 

থিয়ামিন: 0.00৫৪ মিলিগ্রাম .%

 

Vitamin : A 35 IU 1%

 

ভিটামিন সি: . মিলিগ্রাম ১২%

 

ইলেক্ট্রোলাইট সোডিয়াম: গ্রাম0. %

 

পটাসিয়াম: ৪৮ মিলিগ্রাম %

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কাউফলে যে সব গুণাগুণ উপকার 

 

 

১। যেহেতু ফলটি তে প্রচুর ভিটামিন সি বিদ্যমান তাই সর্দিজ্বর ঠান্ডা প্রশমনে জন্য কাউফল উপকারী।

২।এটি অরুচি দূর করে মুখের রুচি বৃদ্ধি করে।

৩।মানব দেহের বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে দুর প্রতিরোধ করে থাকে।

৪। এটি খেলে হৃদস্পন্দন ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

কাউফলে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যার ফলে 

 

অতি বেগুনি রশ্মির কারণে  ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা প্রতিরোধ করে। 

চোখের বিভিন্ন রোগ, স্মৃতিশক্তিজনিত যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। 

চুল পড়া রোধ করে।

 












Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url