নারিকেল গাছের পরিচর্যা

 



নারিকেল গাছের পরিচর্যা।

অনেক সময় নারিকেল গাছে বন্ধ্যা বা শাঁসবিহীন ফল উৎপাদিত হয়। বন্ধ্যা ফলের বাইরের খোসা ও খোলস্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠে কিন্তু ভিতরের পানি বা শাঁস থাকে না এবং কোন ভ্রণ থাকে না। কখনও শুধু পানি থাকে কিন্তু শাঁস থাকে না। আবার কখনও আংশিক শাঁস থাকে কিন্তু পানি থাকে না। একে চিটা নারিকেল বলা হয়।

প্রতিকার

বরিক এসিড (৫০ গ্রাম/গাছ) ও এমোনিয়াম মলিবডেট (১০ গ্রাম/গাছ) গাছে প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়। সুষম সার ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়।


নারিকেল মাকড়সার আক্রমণের লক্ষণ ও প্রতিকার।

প্রথমধাপ: আক্রন্ত গাছের ২ থেকে ৬ মাস বয়সের সকল কচি ডাব কেটে নামিয়ে গাছ তলাতেই আগুনে ঝলসাতে হবে (ভাদ্র-আশ্বিন, মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর মাস)।


দ্বিতীয়ধাপ: ডাব নামানোর পর ঐ সব গাছে যে কোন মাকড় নাশক, যেমন ওমাইট-৫৭ ইস’ ১.৫ মিলি এক লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের কচি পাতা সহ,কাঁদি সংলগড়ব এলাকায় ভাল করে স্প্রে করতে হবে। এই সঙ্গে আশে-পাশের কমবয়সি গাছের কচি পাতায় একইভাবে মাকড়নাশক স্প্রে করতে হবে (ভাদ্র-আশ্বিন, মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর মাস)।


তৃতীয়ধাপ: প্রথমবার স্প্রে করার পর গাছে নতুন ডাবের বয়স দু’মাস হলে,পূর্বেরমতো একইভাবে একই মাত্রায় মাকড়নাশক স্প্রে করতে হবে। একই সঙ্গেনবীন গাছেও পূর্বের মত মাকড়নাশক প্রয়োগ করতে হবে (ফাল্গুন-চৈত্র, মধ্য  ফেব্রয়ারি থেকে মধ্য মার্চ মাস)।




ধন্যবাদান্তে

আমিন

কৃষি পরামর্শ Group


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url