আমলকি
আমলকি।
আমলকি একটি অবহেলিত কিন্তু মূল্যবান ফল। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও সিলেট এলাকায় আমলকির চাষ বেশি হয়। আমলকি ভিটামিন ‘সি’ ও ‘ক্যালসিয়াম’ সমৃদ্ধ ফল। এ ফলে যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ আছে অন্য কোন ফলে তা নেই।
জনসাধারণের ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি বিবেচনা করে এ ফলের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত। দেশের প্রতিটি বসতবাড়িতে একটি আমলকি গাছ থাকা আবশ্যক। আমলকি চাষাবাদের মাধ্যমে দৈনন্দিন ভিটামিন ‘সি’ এর চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাই এ ফলের বাণিজ্যিক চাষের গুরুত্ব রয়েছে।
পুষ্টিমান ও ঔষধি গুণ: আমলকির ফল টাটকা অবস্থাতেই খাওয়া হয়। আমলকির রস যকৃত, পেটের পীড়া,হাঁপানি, কাশি, বহুমুত্র, অজীর্ণ ও জ্বর রোগে বিশেষ উপকারী। পাতার রস আমাশয় প্রতিষেধক ও বল বর্ধক।
আমলকি রসের শরবত জন্ডিস, বদহজম ও কাশির জন্য উপকারী। ইউনানী শাস্ত্রে ঔষধ তৈরিতে আমলকির ব্যবহার প্রচলিত আছে। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে রয়েছে (জলীয় অংশ ৯১.৪%), খনিজ ০.৭ গ্রাম, আঁশ ৩.৪ গ্রাম, আমিষ ০.৯ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৩.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘বি-১’ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘বি-২’ ০.০৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ ৪৬৩ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি ১৯ কিলো-ক্যালরি।
ফল সংগ্রহ: ডালপালায় ঝাকুনি দিয়ে ফল মাটিতে ফেললে ফল আঘাত প্রাপ্ত হয়ে দ্রæত নষ্ট হয়ে যায়। তবে গাছের নিচেজাল ধরে শাখায় ঝাকুনি দিয়েও ফল সংগ্রহ করা যায়। সমস্ত ফল একসাথে পরিপক্ক হয় না। তাই ২/১ দিন পরপর ফল সংগ্রহ করতে হয়। সংগ্রহের সাথে সাথেই ফল বাজারজাত করতে হবে, কেননা সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে সংগৃহীত ফলে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ কমতে থাকে।
নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনে যে ভূলগুলো হয়।
লেবু গাছের পাতার ক্যাংকার রোগের সমাধান।
লেবু চাষে করে হতে পারেন স্বাবলম্বী।
কাগুচি লেবু গাছের গুরুত্বপূর্ণ রোগ ও তার প্রতিকার।