কমলা
‘বারি কমলা-১
বারি কমলা-১’ জাতটি স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত জার্মপ্লাজম থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করে ১৯৯৬ সালে চাষের জন্য অনুমোদন করা হয়।বারি কমলা-১’ মাঝারী আকৃতির খাড়া গাছ। পাতা মাঝারী, বল্লাকৃতির। পাতার বোঁটার সাথে ক্ষুদ্র উইং থাকে। এটি একটি নিয়মিত আগাম ফলপ্রদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত (গাছপ্রতি ৩০০-৪০০টি ফল ধরে)। ফলবড়, ওজন ১৮০-২০০ গ্রাম ও প্রায় গোলাকৃতির হয়। পাকার পর হলদে রং ধারণ করে। ফলের খোসা ঢিলা, ফল রসালো ও মিষ্টি (টিএসএস ১০.২% এবং এসিড ১.১৯%)। হেক্টরপ্রতি ফলন ২০-২৫ টন। বৃহত্তর সিলেট,চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলায় চাষোপযোগী।
বারি কমলা-২
বাংলাদেশের ফলের ক্ষেত্রে এটি একটি নতুন সংযোজন। এ কমলা গাছ মধ্যম আকৃতির এবং প্রতিবছর নিয়মিত ফল ধরে। ফল ৭-১২ সেমি আকৃতির প্রায় গোলাকার এবং ফলের গড় ওজন ৩৮ গ্রাম। সম্পূর্ণ পাকাঅবস্থায় ফল ও ফলের শাঁস গাড় হলুদ রঙের হয়ে থাকে। ফলের খোসা ঢিলা, শাঁস রসালো ও খুব মিষ্টি (টিএসএস ১২%)। বীজ খুব ছোট আকৃতির। এ জাতের কমলা গাছে উল্লেখযোগ্য কোন রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আμমণ হয় না।
বারি কমলা-৩
নিয়মিত ফলদানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত। গাছটির পাতা তুলনামূলকভাবে বড় ও ঝোপালো। ফল গোলাকার ও বড় (গড় ওজন ১৭০ গ্রাম), দেখতে উজ্জ্বল কমলা বর্ণের। ফল পাকার পর হলুদ থেকে গাঢ় কমলা রং ধারণ করে।ফল সাধারণত এককভাবে ধরে। ফলের খোসা ঢিলা, শাঁস রসালো ও মিষ্টি(টিএসএস ১১.৫%)। ফলের অভ্যন্তরে ১০-১১টি খÐ বিদ্যমান এবংখাদ্যোপযোগী অংশ প্রায় ৭৯.৮% ।