কাজু বাদাম

 

কাজু বাদাম।


কাজু বাদাম।

কাজু
বাদাম অত্যন্ত সুস্বাদু একটি বাদাম। কাজু বাদামের ইংরেজী প্রতিশব্দ Cashew Nuts কাজু বাদাম একটি নাট ঘোঁ বা বাদাম জাতীয় ফল। কাজু বাদাম সর্বপ্রথম ব্রাজিলে উৎপন্ন হতো। পার্তুগীজরা এটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয় এবং ষোড়শ শতকে এটি ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসে।

 

বৃক্ষ জাতীয় ফসলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মধ্যে কাজু বাদামের স্থান তৃতীয়। এটি একটি অর্থকরী ফসল। কাজু বাদাম গ্রীষ্মলীয় ফল। বাংলাদেশে সর্বত্র এর চাষ সম্ভব। কাজু বাদামের দুটি অংশই খাওয়ার উপযোগী। সকল খাবারের মধ্যে কাজু বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। কাজু বাদাম নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুকি কম থাকে। গবেষণায় জানা গেছে, এই বাদাম খাওয়ার ফলে রোগ মুক্তির সাথে ব্রেণেও পুষ্টির যোগান দেয়। যার ফলে যে সকল মানুষ কোন কিছু মনে রাখতে অক্ষম তাদেরও মনে রাখতে সাহায্য করে থাকে। বাদামে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর মধ্যে হৃৎপিন্ডের জন্য উপকারী উপাদান রয়েছে। গবেষনায় আরো পাওয়া গেছে, দৈনিক ১০ গ্রাম করে বাদাম গ্রহণ করলে মৃত্যুর জন্য দায়ী অনেক বড় ঝুকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কাজু বাদামের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।


আমন্ড বাদাম : বাদামের রাজা আমন্ড। এই বাদামের অনেক গুণ। এই কারণে এই বাদাম কে বাদামের রাজা বলা হয়। ঠিক তেমনিইভাবে কাজু বাদাম এর ন্যায়। কারণ কাজু বাদামের মতো প্রতি ক্ষেত্রে মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে এই আমন্ড বাদাম। কাজু বাদামে অনেক ভূমিকা আছে যা মানুষের সাস্থ্যে অনেক উপকারী হিসাবে কাজ করে।

 

শক্তিশালী হতে সাহায্য করে : কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ যাহা শক্ত হাড়ের জন্য মাংসপেশী স্নায়ুর সঠিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষনের জন্য। আর কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর থাকে। তাই বেশি করে কাজু বাদাম খাওয়া উচিৎ।

 


মস্তিষ্কের কাজের ভূমিকা : কাজু বাদামে থাকে আরও উচ্চ মাত্রায় কপার। তাই যেহেতু কাজু বাদামে উচ্চ মাত্রায় কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং    মস্তিষ্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া লাল রক্ত কনিকার উৎপাদনে সাহায্য করে বলে অ্যানেমিনিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

 

হৃৎপিন্ড সুস্থ্য রাখা : কাজু বাদামে ভাল ফ্যাট থাকে এবং তাতে কোন প্রকার কোলেস্টেরল থাকে না। খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে কাজু বাদাম। আমরা অনেকেই মনে করে যে, চর্বি গ্রহণ বাদ দেওয়াটা শরীরের জন্য ভাল, কিন্তু এই কথাটা আসলে সত্য নয়। সুস্থ্য দেহের জন্য সকল ধরণের গ্রপ থেকে এমন কি ফ্যাট থেকে পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। ভাল উৎস থেকে কাজু বাদাম গ্রহন করলেই ভাল হয়। তাছাড়া কাজু বাদামে অলিক এসিড থাকে যাহা হার্ডের জন্য অনেক উপকারী হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : কাজু বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বিদ্যমান থাকে এবং পটাশিয়ামও প্রচুর পরিমাণে থাকে। কিন্তু মাটিতে সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে। কাজু বাদাম শরীরের রক্ত বিশুদ্ধ করে। নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে শরীরের রক্ত বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম এর মাত্রা বেশী থাকায় কাজু বাদাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে কাজু বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে সকল প্রকার ঝুকি থেকে বাচার উপায় হিসাবে কাজ করবে।

 

ক্যান্সারের ঝুকি কমায় : কাজু বাদামে সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন- থাকে। যা ফ্রি যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে। যার ফলে ক্যান্সারের ঝুকি কমায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাজু বাদামের প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে বলে ইনফেকশণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে এই কাজু বাদাম।

কাজু বাদাম।

স্ট্রবেরি  চাষ সম্পর্কে পড়তে ক্লিক করুণ।


কাজু বাদাম খাওয়ার উপকারিতা।

১। বেশীর ভাগ মানুষই কাজু বাদাম খেতে পছন্দ করে। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল সমৃদ্ধ কাজু বাদাম।


২। এই খাবারে এক ধরনের মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড থাকে যার নাম ওলিসিক এসিড। ওলিসিক শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।


৩। টিউমার প্রতিরোধে কাজু বাদামের ভুমিকা অপরিসীম। কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম ভূমিকা পালন করে।

৪। বাদাম কতরের মধ্যে কাজু বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। খাবার হিসাবে কাজু বাদাম মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপকারী। কাজু বাদাম নিয়মিত খেলে নানারকম জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। রোগমুক্ত থাকার জন্য মানুষের চারপাশে ছড়িয়ে-ছটিয়ে আছে নানা রকম উপাদান, যার নিয়মিত ও সঠিক ব্যবহারে সবাই পেতে পারে সুস্থ্য জীবন। তেমনি এর একটি অন্যতম উপাদান হল কাজু বাদাম।


৫। কাজু বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার যাহা চুলের গোড়া মজবুত করে। এতে করে চুল হয় উজ্জ্বল, যাহা চুল পড়া কমায়। এবং চুলকে ঘন করতে সক্ষম করে। চুলের কালো রং ধরে রাখতে কাজু বাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

পরিশেষে এক কথায় বলা যায় যে, কাজু বাদাম সু-স্বাদু ও সু-স্বাস্থ্য গঠনে অত্যন্ত কার্যকর। এই বাদামে যেমন ঔষধি গুণাবলী রয়েছে ঠিক তেমনি এটি যদি কেহ অধিক পরিমানে সেবন করে তাহলে স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই সকলের কাজু বাদাম নিয়মের ভিতরে থেকে পরিমানমত গ্রহণ করা উচিত।

গাজরে পুষ্টি ও গুণাগুণ।


ধন্যবাদান্তে

রবিউল ইসলাম

কৃষি পরামর্শ Group


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url