ফেরামন ওয়াটার ট্রাপ







ফেরামন ওয়াটার  ট্রাপ|


ফেরামন ওয়াটার  ট্রাপ : ওয়াটার ট্রাপ এক ধরণের প্লাস্টিকের ড্রাম বা বৈয়ম যার ভেতর ফেরোমন তাবিজ লিওর  ঝুলান হয়।



ব্যবহার : ফেরোমন তাবিজ বা ফাঁদ স্থাপনের জন্য এই ওয়াটার ট্রাপ ব্যবহার করা হয়। ট্রাপ বা প্লাস্টিক বৈয়মের ত্রিকোন অংশের মাঝ বরাবর, তার দিয়ে ফেরোমন টোপটি ঝুলিয়ে দিতে হয়। ফুল ও ফল যে উচ্চতায় থাকে ঠিক সেই উচ্চতায় ওয়াটার ট্রাপ দুটি খুঁটির সাহায্যে বেঁধে দিতে হয়। বৈয়ামের ভিতরে ডিটারজেন্ট পাউডার মিশ্রিত পানি দিয়ে  কর্তিত অংশ ১ সে.মি. নিচ বরাবর ভর দিতে হয়। ওয়াটার ট্রাপ ব্যবহার করা হয় ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনের জন্য।

ফেরামন ওয়াটার  ট্রাপ|

                             

গঠন : উচ্চতা ৮-১০ইঞ্চি ও ব্যাস ৫-৬ ইঞ্চি। মাঝে ত্রিকোনা আকারে কর্তিত থাকে। ঢাকনা উপরে একটি  ফুটা থাকে সুতা দিয়ে তাবিজ বা লিওর ঝুলানোর জন্য।



ফেরোমন

ফেরোমন একটি প্রাচীন গ্রীক শব্দ phero বহন করা এবং হরমোন, প্রাচীন গ্রীক impetus হচ্ছে নিঃসরিত হওয়া রাসায়নিক বস্তু। যা একই প্রজাতির সদস্যদের মধ্যে একটি সামাজিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফেরোমন হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ যা স্বতন্ত্র ভাবে শরীরের বাইরে ক্ষ্ররিত হয় এবং হরমোনের মতো আচরন করে, যারা এটি গ্রহণ করে তাদের উপরও এটি স্বতন্ত্র ভাবে প্রভাব ফেলে। বিভিন্ন ধরনের হরমোন যেমন এলারম ফেরোমন, ফুড ট্রেইল ফেরোমন, সেক্স ফেরোমন ইত্যাদি আছে। এছাড়া আরো অনেক ফেরোমন আছে যারা শরীরে ও স্বভাবে প্রভাব ফেলে।ফেরোমন এককোষী আদিকোষ থেকে জটিল বহুকোষী প্রকৃত কোষে ব্যাবহৃত হয়। পতংগে ফেরোমনের ব্যাবহার বেশ ভালোভাবে গবেষণা থেকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে অধিকন্তু কিছু ভাটিব্রাটা, উদ্ভিদ এবং সিলিয়াট ফেরোমন ব্যাবহার করে।
ফেরোমন একটি পোটেম্যান্টিউ শব্দ।১৯৫৯ সালে পিটার কালসন এবং মাট্রিন লুসচার গ্রীক শব্দ ফেরো(আমি বহন করি) হরমোন Stimulating কে সমন্বয় করে এই নাম রাখেন।


ফেরোমন কি?

ফেরোমন হলো একধরনের পদার্থ যা বিভিন্ন প্রাণী এবং কীটপতঙ্গ তাদের শরীর থেকে নিগৃত ককরার মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অন্যান্য সদস্যদের আচার -আচরনকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেরোমন ব্যাবস্থপনা প্রানীদের তুলনায় কীটপতঙ্গে অনেক সহজ। কীটপতঙ্গ ফেরোমন ব্যাবস্থপনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তথ্য আদান-প্রদান এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।


ফেরোমনের প্রধান শ্রেণি সমুহঃ-
১.Aggregation (সমাহার) ---Alarm(বিপদ সংকেত)
২.Epideictic (নিদের্শক)Territorial(এলাকা নিধারক)
৩.Trail Marking ( চিন্হ রেখা)-Sex(যৌন প্রজনন).


সেক্স ফেরোমন কি?
সেক্স ফেরোমন হলো একটি নিদিষ্ট গন্ধযুক্ত জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা স্ত্রী পোকার শরীর হতে নিঃসৃত হয় এবং সেই গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে পুরুষ পোকা স্ত্রী পোকার নিকটে চলে আসে ও তাদের যৌন মিলন হয়। বতমানে এই নিদিষ্ট গন্ধযুক্ত জৈব রাসায়নিক পদার্থ কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হচ্ছে যার দ্বারা সৃষ্ট টোপ ব্যাবহার করে পুরুষ পোকাকে আকৃষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদের সাহায্যে মেরে ফেলা হয়।ফলশ্রুতিতে পুরুষ পোকার অনুপস্থিতির কারনে স্ত্রী পোকার যৌন মিলন সম্পন্ন হয়না বিধায় তাদের বংশবৃদ্ধি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।

বায়ো- পেস্টিসাইড বা জৈব বালাইনাশক হলো বিভিন্ন বালাই দমনের এমন একটি মাধ্যম যেটি বিভিন্ন অনুজীব এবং জৈব উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।

জৈব বালাইনাশক তিনটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত--
১. জৈব রাসায়নিক বালাইনাশক
২.অনুজীব জৈব বালাইনাশক
৩.পি,আই,পি(প্লান্ট ইনকপোরেটেড প্রটেক্টযান্টস)

জৈব রাসায়নিক বালাইনাশকঃ-
জৈব রাসায়নিক বালাইনাশক হলো প্রকৃতিগতভাবে উদ্ভুত উপাদান অথবা রাসায়নিক উপাদান যা গঠনগতভাবে জৈব উপাদানের সম্পুর্ন অনুরুপ। সাধারণত জৈব রাসায়নিক জৈব বালাইনাশক অবিষাক্ত পদ্ধতিতে /ভাবে কাজ করে যা বালাই সমুহের গঠন ও বদ্ধি, প্রজনন ক্ষমতা এবং বাস্তুসস্থান প্রভাবিত করে।এই ধরনের জৈব বালাইনাশকের উদ্ভিদের গঠন ও বৃদ্ধিতেও উপকারী ভুমিকা রয়েছে।জৈব রাসায়নিক জৈব বালাইনাশকে বেশ কয়েকটি শ্রেনিতে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১.সেমি কেমিক্যাল

ক.ফেরোমন
খ.এলিলোকেমিক্যাল
২.হরমোন
৩.ন্যাচারাল প্লান্ট রেগুলেটর এবং ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর
৪.এনজাইম
৫.বোটানিক্যাল


অনুজীব জৈব বালাইনাশকঃ
বিভিন্ন ধরনের স্পোর বা অনুজীব উতপাদনকারী অনুজীব হতে উদ্ভুত উপাদানই অনুজীব জৈব বালাইনাশক হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। অনুজীব জৈব বালাইনাশককে পাচ ধরনের শ্রেনীতে ভাগ করা যায়।
যথাঃ

১.ব্যাকটেরিয়াজাত.
২.ছত্রাকজাত.
৩.প্রোটোজোয়াজাত.
৪.ভাইরাসজাত.
৩.পি.আই.পিঃ
পি. আই.পি জেনেটিক উপাদান যা নিদিষ্ট প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক উপাদান হিসাবে প্রবেশ করানো হয় তবে এর ব্যাবহার বিতকিত।




ধন্যবাদ সকলাকে

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url