পার্থেনিয়াম

 পার্থেনিয়াম The Silent Killer



ছবি : পার্থেনিয়াম গাছ ।

পার্থেনিয়াম' সূর্যমুখী উপজাতির, যার জন্ম মেক্সিকোতে । বর্তমানে উত্তর আমেরিকা, চীন, নেপাল হয়ে ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। পার্থেনিয়াম, যা হিন্দিতে "গাজর ঘাস" নামে পরিচিত, ভারতের সবচেয়ে আক্রমণকারী উদ্ভিদ প্রজাতি ।

মানুষের উপর পরাগের মাধ্যমে প্রভাব ফেলে। হাওয়ার মাধ্যমে এটি মানুষের সংস্পর্শে আসে এবং ডার্মাটাইটিস, জ্বর, হাঁপানি, এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো বিভিন্ন বড় বড় রোগ ও এলার্জির সৃষ্টি করে। এই আগাছাতে পাওয়া সাধারণ অ্যালার্জেনগুলি হল- পার্থিনিন, করোনোপিলিন, টিট্রেনানিরিস এবং এমব্রোসিন। পার্থিনিয়াম গাছ খাওয়ার ফলে পশুদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় । গরু, মোষ, ছাগলের দুধের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে । পার্থেনিয়াম বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেললে গবাদি পশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে ।


রাস্তা ও ক্ষেতের চারপাশে এগুলো প্রচুর পরিমানে দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলো যে কোনো ফসলের পক্ষে খুবই খারাপ। চাষীদের জন্য এ উদ্ভিদের একটিমাত্র ভালো দিক হল- ফুল হবার আগেই খুব সাবধানে এই গাছ কেটে গোবর ডোবায় দিলে গোবর সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে যা ফসলের পক্ষে উপকারী ।

এবার দেখা যাক_কীভাবে এই গাছ ধ্বংস_করা যায়
গাছের গায়ে কেরোসিন স্প্রে করলে গাছ খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়। তবে এতে অনেক অসুবিধা আছে, যেমন- পদ্ধতিটি ব্যয়সাপেক্ষ, কেরোসিন জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়লে জল নষ্ট হবে।
তাই খুব কম খরচে এটি বিনাশ করার সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া উপায় হলো ৪ থেকে ৫ লিটার জলে ১ কেজি নুন ভালো করে মিশিয়ে গাছের পাতায় ও গোড়াতে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্প্রে করলে ২ দিনের মধ্যে সব মারা যাবে।


কিছু_সাবধানতা
১. গাছে কোনো ভাবেই হাত দেবেন না এবং বাচ্চাদের দূরে রাখুন।
২. পার্থেনিয়াম সাফাই অভিযানে সবসময় মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে থাকবেন। এছাড়া ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট বা ট্র্যাকসুট পরে থাকা ভালো।
৩. সাফাইয়ের পর জামাকাপড় ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন ও নিজে স্নান করে বাড়িতে ঢুকবেন।
সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ আপনার নিজেদের চারপাশ পার্থেনিয়াম মুক্ত রাখুন ও নিজে সুস্থ থাকুন ।


ধন্যবাদ সবাইকে
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url