বোরন সার প্রয়োগ পদ্ধতি
বোরন সার প্রয়োগ পদ্ধতি
বোরন একটি রাসানিক মৌল যার প্রতিক হচ্ছে B । বোরনের পারমানবিক ভর সংখ্যা ৫।বোরন প্রকৃতি গত ভাবে সংঘটিত একটি মৌল ।যা প্রকৃতিতে স্বাভাবিক ভাবে মিলে যায়। পৃথিবীর সবথেকে বড়ো বোরনের খনি তুরস্কে অবস্থিত।বোরন হলো একপ্রকার ধাতুকল্প যা পাথর এবং ধাতুর গায়ে অল্প পরিমানে পওয়া যায়।বোরন দেখতে রুপালী থেকে কালো এবং খুব শক্ত হয়ে থাকে। খুব অল্প মাত্রায় বিদুৎ পরিবাহি। কৃষিক্ষেত্রে বোরনের ব্যবহার আলোচনা করা হল।
যে মাটিতে অম্লবেশি সে মাটিতে বোরনরে ঘাটতি দেখাদিবে। আবার যে মাটিতে জৈব পদার্থ ১.৫%
কম থাকে সেই মাটিতে বোরণের অভাব দেখাদিবে। বোরন সরাসরি মাটিতে প্রয়োগ করলে তা উদ্ভিদ গ্রহন করতে পারে না । জমির মাটি পরিক্ষা করে বোরণ ব্যবহার করাযেতে পারে। নিম্নে
বোরন সার এর অভাব জনিত লক্ষন,প্রয়োগ ও মাত্র আলোচনা করা হলো।
উৎপাদন : কমপক্ষে ২০% বোরন বিদ্যমান।
বোরনের অভাবজনিত লক্ষণ : পাতা খর্বকায় ও কোঁকড়ানো হয় এবং নেতিয়ে পড়ে। কান্ড ও পাতার বোঁটা এবং ফল ফেটে যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। কান্ডের তগ্রকোস বা কচি কান্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । পরাগায়ন, ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। আলু ও বিভিন্ন ফলের উপর বিবর্ণ দাগ পড়ে। উদ্ভিদ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয় । বীজের সংখ্যা খুব কমে য়ায়।
প্রয়োগ পদ্ধিতি : মাটিতে এবং পাতায় স্প্রে দুইভাবেই প্রয়োগ করা যায়। সার /বালু/ছাই/মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষে প্রয়োগ করতে হবে। ফসলে বোরনের অভাব দেখা দিলে মাত্রানুযায়ী পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকালে স্প্রে করতে হবে।
প্রয়োগ ক্ষেত্র : সকল প্রকারের ফসলে ব্যবহার করা যায়। ধান, গম, আলু, আম, ইক্ষু, বেগুন, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, শশা, পটল, করলা, চিচিংগা, ঝিংগা, ঢেঁড়স, বাধাকপি, ফুলকপি, মরিচ, পান, আনারস, কলা, তরমুজ, তুলা, চা, এবং ফুল জাতীয় ফসল যেমন-গাঁধা, গোলাপ, রজনীগন্ধা,জারবেরা ইত্যাদি ফুলগাছে বোরন ব্যবহার করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় এছাড়া ডাল ও তেল জাতীয় দানাদার ফলের দানার গঠনে এবং ফলন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আলুকে দাঁদ রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ধানে চিটা হওয়া ও দাগ পড়া কমে যায়। আম, লিচু, কলা ইত্যাদি ফলের ফেটে যাওয়া রোধ করে।
প্রয়োগ মাত্রা : প্রতি লিটার পানিতে ১-১.৫ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করুন। ১৫ দিন অন্তর অন্তর দুই বার প্রয়োজনে ৩য় বার স্প্রে করুন।
ধন্যবাদ সকলকে
আমিন
কৃষি পরামর্শ Group