জৈব সার তৈরি করার নিয়ম

 সমস্ত প্রশংসাই মহান আল্লাহর । এখানে বিনা পয়সায় জৈব সার তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হলো ।

জৈব সার তৈয়ারির পদ্ধতি দেওয়া হলো

জৈব সার তৈরি করার নিয়ম

আপনার বাগান বড় ও ছোট হতে পারে । সেই অনুপাতে ফুল ড্রাম ডাকনা সহ কিনে নিবেন । বাগান বড় হলে ১২০ লিটারের ছোট হলে ৬০ লিটারের খালি ড্রাম ছিদ্র মুক্ত কিনে নিবেন । আমাদের রান্না ঘর হতে পারে জৈব সারের উৎস । এখন আপনার বাসায় রান্না ঘরের সব্জির কাটা কুটি ও খোসা ১ টি ঢাকনা যুক্ত ড্রামে ফেলতে থাকুন । এখানে ও পিয়াজ রসুনের ও পেপের খোসা দিবেন না এইটা মনে রাখবেন এই গুলি সহজে পচে না । ড্রামটি ভরে গেলে পানি দিতে হবে সাথে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া দিয়ে দিবেন এত খুব সহসাই সব পচে যাবে । যদি দেখেন ড্রামে কোন পোকা হয়েছে তা হলে ৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে দিতে হবে । ইউরিয়ায় পচানো সাহায্য করবে পটাশ সার পোকা মুক্ত কাজ করবে । ড্রামের মুখ বন্ধ করে দিন ১০ দিন পরে মুখ খুলে দেখে নিবেন সঠিক ভাবে পচেছে কিনা । পচে গেলে ভালো ভাবে নাড়ুন নেড়ে নিয়ে এখান থেকে শুধু পানি নিবেন । স্টিলের নেট দিয়ে ছেকে শুধু পানি নিবেন । এখানে পানি কমে গেলে অল্প পানি দিয়ে নিবেন ।এক মগ পানির সাথে ৫ মগ পানি দিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে হবে । এই পানিতে খড় কুটা যা হবে পুড়িয়ে ফেলুন ছাই হবে ছাই বেগুন গাছের জন্য ভাল জৈব সার । আপনার কস্টেই আপনার বাগান সৃস্টি হবে সবুজের ভুবন ।




সুপার ফাস্ট সার খৈল ও গোবর পচানো পানি ?
খৈল পচা একটি ভাল মানের জৈব সার । কি ভাবে তৈরি করবেন এই সার । যে কোন ঢাকনা যুক্ত পাত্র নিন তাতে ১কেজি খৈল দিয়ে ১৪ লিটার পানি দিয়ে নিবেন । সাথে শুকনা গোবর ২ কেজি মগের এক মগ দিতে হবে। এবার ড্রামের মুখ ভালো ভাবে বন্ধ করে দিন । ১০ দিন পরে লাঠি দিয়ে নাড়তে হবে ড্রামটি এয়ার টাইট হলে গন্ধ হবে না । যদি মনে করেন বেশী ঘন হয়ে গেছে তা হলে পরিমান মতো পানি দিয়ে দিবেন । ১৫ দিন পড়ে ব্যাবহারের উপযোগি হয়ে যাবে । সেই সাথে লক্ষ রাখবেন পোকা হলে এক মোঠ পটাশ সার দিয়ে দিবেন পোকা মরে যাবে । এখান থেকে ১ মগ খৈলের পানির নিবেন । সাথে আরো ১০ মগ ভাল পানি দিয়ে নিবেন । খুব পাতলা করে গাছের চার দিকে চক্র আকারে দিতে হবে । এই জৈব সার টি মাসে ২ বার দিতে পারেন । মনে রাখবেন ১মগ খৈল পাচানো পানি জন্য আরো ১০ মগ ভালো পানির কম দিতে পারবেন না । পাতলা হলে অসুবধা নেই ঘন হলে গাছ মরে যাবে । পালং শাক ও লাল শাকে দিতে হবে ১ মগের খেল পচানো পানির সাথে ১৫ মগ ভালো পানি এই ভাবে লাউ গাছে ও দিতে পারবেন । বৃষ্টির কারনে ড্রামে থাকা সারের ক্ষমতা কমে গেছে তাই এই জৈব তরল সার ব্যবহার করুন ।

অন্য সার বা রাসায়নিক সার গাছের রং গাঢ় সবুজ থাকলে দিতে হবে না । কিছু কিছু সময় পরিমিত রাসায়নিক সার দিতে হবে গাছে ফুল করার আগে আগে ।পাতার সাইট লাল হলে পটাশ সার ১৮ লিটার পানিতে দুই মোট ভিজিয়ে চক্র আকারে দিতে হবে । ডেপ সার ব্যাবহার করলে অন্য সার তেমন লাগে না । ফুল কলি ঝরে গেলে বোরন প্রতি গাছের চার দিকে এক চিমটি পরিমান দিতে হবে মাসে ২ বার । মনে রাখবেন শাক-সবজি, ফুলের জন্য ছোট খাট টব বা পানির বোতল হলে ও চলে । কিছু কিছু গাছ যেমন মরিচ গাছ সহ লতা জাতিয় ফুল সব কিছু ৫ লিটার পানির বোতলে লাগাতে পারেন । কিন্তু ফলের ক্ষেত্রে পাত্র/ড্রাম যত বড় হয় তত ভালো ।





এর বাহিরে জানতে চাইলে আমার ইউটিউবের চ্যানলটি ভিজিট করুন করতে লিখুন alamgir sikder rooftop garden

ধন্যবাদ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url