শিমের ফুলের স্টিক/শীষ পচা রোগ।
শিমের ফুলের স্টিক/শীষ পচা রোগঃ
______________________________
শিমের রোগগুলোর মধ্যে শিমের ফুলের স্টিক বা শীষ পচা রোগ একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগে অনেক সময় ফলন শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক দিয়েও তেমন আশানুরূপ কোন ফল পাওয়া যায় না। অনেক এলাকায় কীটনাসকের দোকানদ্বারগণও তেমন কোন সমাধান দিতে পারেন না।
এর কারন এই রোগটি সম্পর্কে তেমন কিছু জানা থাকে না।
শিমের ফুল যখন ফুটবে ঠিক তখন এর আক্রমণ হয়।
লক্ষণঃ ভেজা ভেজা দেখা যায়।হাত দিলে
আঠালো মনে হয়।চাপ দিলে রস বের হয়।পিচ্ছিল মনে হয়।
আক্রমণের স্থানঃ স্টিক বা শীষে যেখান থেকে
ফুল শুরু হয় ঠিক সেখান থেকে আক্রমণ করে।
সাদৃশ্যঃ ধানের শীষের নেক ব্লাস্ট।
কারনঃ আবওহাওয়া জনিত কারন।দিনে গরম রাতে ঠান্ডা।
রোগের নামঃ
___________
সাধারনত এনথ্রাকনোছ বলা হয়ে
থাকে। তবে এটিকে শিমের নেক ব্লাস্ট বলা উচিৎ। তাহলে যে কেউ রোগের নাম শুনলেই চিকিৎস্যা দিতে পারবে।
কেননা এনথ্রাকনোছের ওষুধ দিলে আক্রান্ত অংশ সুস্থ্য হলেও পুনরায় আক্রমণ হয়।
কিন্তু ধানের নেক ব্লাস্ট এ ব্যবহৃত ছত্রাকনাশক দিলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ধানের নেক ব্লাস্টে এমিস্টার টপ,কমবি২, এগুলা দিলে আক্রান্ত অংশ ভাল হয় তবে পুনরায় আক্রমণ করে। শিমের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।
প্রতিকারঃ টেবুকোনাজল+ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। যেমনঃ ভেলিন,নাটিভো,বিঙ্গো ইত্যাদি।সাথে একটু কার্বান্ডাইজিম দিতে পারেন। তবে মেনকোজেব দিবেন।
ধানের নেক ব্লাস্টেও এই একই ওষুধ প্রয়োগ করবেন।
বিশেষ কথাঃ অনেকেই নিয়মিত শিম ক্ষেতে নাটিভো দেওয়াতে তাদের ক্ষেতে আক্রমণই হয়না। তাই তারা এই রোগ বিষয়ে জানেন-ই না।