জৈব সার

 জৈব সার বলতে কি বুঝো? জৈব সারের কয়েকটি উদাহরণ

জৈব সার ।


জীবিত উৎস থেকে উৎপন্ন সার কে জৈব সার বলে, আর বিশদভাবে বললে প্রাণীর বিষ্ঠা ও মূত্র বা সরাসরি ভাবে প্রাণী ও উদ্ভিদের শরীর বা শরীরের অংশ থেকে যে সার তৈরি হয় তাকে জৈব সার বলে , এর উল্টো দিকে রয়েছে খনিজ প্রদার্থ থেক তৈরি কারখানায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে তৈরি সার যেমন কিনা বাজারে ইউরিয়া ডিএ পি পটাশ প্রভৃতি নামে পাওয়া যায় –

আমরা যে জৈব চাষ নিয়ে প্রতি নিয়ত পোস্ট গুলি করব সেটি জৈব চাষ বলতে শুধু গোবর দিয়ে নয় , গোবর সার ও গমুত্র এর সাথে আর কিছু বস্তু মিশিয়ে জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটিয়ে কম গোবরে অধিক জমি চাষ কিভাবে হয় তা জানবো , একটি দেশী গাই যদি থাকে তবে তা দিয়ে আপনি 30 একর জমি জৈব তে চাষ করতে পারবেন , যা শুধু গোবর দিয়ে করলে 10 টি গুরুর প্রয়োজন হবে , মনে রাখতে হবে চাষ মানে জীবাণুর খেলা আমরা যা কিছুই জমিতে প্রয়োগ করি তা জীবাণু গাছের খাদ্য হিসেবএ তৈরি করে , জীবাণু গাছের খাদ্য রান্না করে গাছকে খায়াতে সহাজ্য করে , জীবাণু যত বেশি হবে গাছের বৃদ্ধি ফল তত বেশি হবে , আমরা এটাও জানি না হয়তো মাটি তে কি আছে এক কোথায় বলতে আমরা অন্ধকারে শুধু হাত ঢুকিয়ে দেই তাতে কি উঠবে জানি না ,অর্থাৎ মাটিতে সার প্রয়োগ করি না জেনে কিন্তু সেই জায়গায় কম খরচে জমিতে যত বেশি জীবাণু সারের ব্যাবহার বাড়াবেন তত বেশি ফলন বৃদ্ধি হবে আর তা আমরা বাড়িতেই প্রায় বিনা পুজিতে প্রস্তুত করতে পারবো , মনে রাখতে হবে উৎপাদিত ফসলের দাম আপনার হাতে নেই কিন্তু উৎপাদন খরচ আপনার হতে আছে , যত খরচ কমাতে পারবেন দাম কম পেলেও শেষ হাসিটা আপনি হাসবেন রাসায়নিক সার ব্যাবহার কারি কৃষক নয়, কারণ তাদের ফসলের বাজার এবং সারের দোকান দুজনেই লুটে খায় ,
জৈব সারের মধ্যে আজকে আমরা তরল জৈব সার অমৃত পানি (মিরাক্কেল/ভিটামিন ) প্রস্তুত শিখবো , মিরাক্কেল কথার সাথে আমরা চিকিত্সা ক্ষেত্রে অনেকেই জেনে থাকি যে বিজ্ঞান যেখানে হার মনে তার পরেও বেচে ফিরে তাকে বলে এটা একটি মিরাক্কেল , ঠিক এই সারের গুণ তাই যার আশা নেই তবু বেচে ফিরে ফলন দিবে সেই গাছ ও আর ফলন দেয় ।


**উপাদান –--
ক, দেশী গরুর গোবর 1 কেজি
খ, দেশী গরুর গমুত্র 1 লিটার
গ, চিটা গুড় 50 গ্রাম
ঘ ,পচা কলা 6-7 টি
ঙ, জল 10 লিটার
চ, এক কাপ ভাতের ফ্যান
ছ 50 গ্রাম বেশন
জ এক মুঠো মাটি বট বা পাকর গাছের গোড়ার
ঝ , একটি 50 লিটার ড্রাম
**তৈরির পদ্ধতি – উপরের সবটা একটা পাত্রে নিয়ে ভাল করে হাত দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে 50 লিটারের ড্রামে ঢালুন তার পর জল ঢালুন এবং একটি লাঠি নিয়ে ভাল করে ঘেটে দিয়ে একটি অন্ধকার জায়গায় 3 দিন রেখে দিন এবং ঐ 3 দিন দিনে 3 বার একটি লাঠি দিয়ে 10 বার সোজা এবং 10 বার উল্টো করে ঘাটবেন ,
ব্যাবহার –
চতুর্থ দিনে আপনার অমৃত পানি রেডি হয়ে গেছে এবার ব্যাবহার করতে পারেন , তবে যতদিন ব্যাবহার চলাকালীন ড্রামে থাকবে ততদিন ডাল দিয়ে নিয়মিত ঘোড়াতে হবে দ্রবনটি ,
চারা গাছে ব্যাবহার করলে 1 লিটার অমৃত পানির সাথে 7-8 লিটার জল মেশবেন এবং এবং বড় গাছ হলে 1 লিটার অমৃত পানির সাথে 5-6লিটার জল মিসবেন , গাছের গড়তে দিবেন সঙ্গে গাছের গায়ে দিবেন এবং বিশেষত পাতায় দিবেন , মনে রাখবেন গাছ শুধু শিকড় দিয়ে নয় তার পাতা দিয়েও অহার গ্রহণ করে ,
কিভাবে কাজ করে এই সার---
গবরে রয়েছে অজস্র জীবাণু , বেসন এ রয়েছে রাইবোজিয়াম্ এবং চিটে গুড় ও পচা ফলে রয়েছে উদ্ভিদ ও জীবনুদের নানান খাদ্য , সেই সাথে গাছের গড়ার মাটিতে রয়েছে একধরনের উপকারী জীবাণু , 3 দিন ধরে ঐ মিশ্রণ পছতে থাকে এবং জীবাণু গুলির সংখ্যা বাড়তে থাকে , যত পছতে থাকবে তত জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে থাকে , চতুর্থ দিনে জীবাণু দের সংখ্যা বেশি বারে এর পর আসতে আসতে কমতে থাকে ,তাই চতুর্থ দিন ব্যাবহার করলে মিশ্রণটি ভাল কাজে আসে , এর বিতর্কর উদ্ভিদের খাদ্য ও জীবাণুরা মাটিতে প্রবেশ করে মাটিতে জীবাণুর সংখ্যা বাড়িয়ে মাটি উর্বর করে এবং পাতায় খাদ্যের কাজ করে , তাই দেখা গেছে যে ঐ সর দেয়ার ফলে গাছের ফলন বেড়ে যায় ।
, ভাল লাগলে অবশ্যই পেইজ টি কে ফলো করবেন যাতে পরের পোস্ট খুব দিতেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন এবং পোস্ট টিকে শেয়ার লাইক করবেন যাতে আমরা আরও মানুষের কাছে জৈব চাষ তুলে ধরতে পারি , আপনাদের সহযোগিতা আমদের কাজে অনুপ্ররোনা হিসেবএ কাজ করবে ।
এবং আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের এসএমএস করে জানতে পারেন ,আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করব।

  আপনাদের কোন মতামত থাকলে আমাদের এসএমএস করে জানতে পারেন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা আমরা করব


আরো পড়ুন সারের কাজ কি ? সার চেনার উপায়

ট্রাইকোডার্মা কি ও কাজ

Didi-Bhai-agrofarm-Equipment

ফোন- +91 77978 44240





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url