জয় হোক মেহনতী মানুষের।

কৃষি পরামর্শ  গ্রুপের পোস্ট


আশা করি কেউ হাসবেন না। এটা আমার একটা কাল্পনিক চিন্তাধারা। অনেকটা পাগলের প্রলাপ মনে হতে পারে, কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়। আর এডমিনকে পোস্টটি এপ্রোভ করার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বড় করতে চাই না।

আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত মানবজাতির ইতিহাস হচ্ছে জীবন সংগ্রাম তথা টিকে থাকার ইতিহাস। আর এই জীবন সংগ্রামের মূলে রয়েছে ক্ষুধাকে জয় করার বা খাদ্যের যোগানের নিরন্তর  চেষ্টা। কিন্তু আজও পৃথিবীর অনেক মানুষ পেট ভরে একটু ভাল খাবার, মাথা গোজার একটু ঠায়, দুটুকরো কাপড়,  ভাল একটু চিকিৎসা পায় না। আর এই লক্ষকে সামনে রেখেই আমাদের পথ চলা হোক, সুখে থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ।  আর কৃষিকে আবর্তন করেই হোক আমাদের সকল কর্মকাণ্ড। একমাত্র কৃষিই পারে বিশ্বকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে।

তাই এমন একটি সিস্টেম চালু করে যেতে চাই,  যে সিস্টেমের আওতায় কৃষক  এবং উৎপাদক তার ন্যায্য মূল্য পাবে,  কৃষি তথা কৃষকের উন্নয়ন হবে। আর এই সিস্টেমের প্রধান উদ্দেশ্য হল উৎপাদক এবং সাধারণ ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ করা, যাতে দুজনেই উপকৃত হয়। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় লাগামহীন ট্যাক্স বা শুল্ক,  সরকারি অপচয়,  ঘুষ, দুর্নীতি আর অনিয়ম, যার ফল জীবনযাত্রার ব্যয় তথা আকাশচুম্বী দ্রব্যের দাম। সরকারি ব্যয় তথা দুর্নীতি ও অপচয় বৃদ্ধির ফলেই আজ আমাদের পকেটে টাকা থাকে না।  যে পাওয়ার টিলার চায়না থেকে কেনা হয় ৫০-৬০ হাজার দিয়ে, বাংলাদেশে এসে হয়ে যায় ১ লাখ ২০-৩০ হাজার।

কৃষির কল্যাণের জন্য উৎপাদক থেকে যাতে সরাসরি ভোক্তার হাতে পণ্য পৌছে দেওয়া যায় সেই সিস্টেমই চালু করতে চাই। এজন্য ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলা পর্যায়ে  শীর্ষস্থানীয় বাজারসমূহে অনেকগুলো সুপারশপের ব্যবস্থা থাকবে, যেখান থেকে গ্রাহকরা সরাসরি উৎপাদিত কৃষি পণ্য ক্রয় করতে পারবে অত্যন্ত ন্যায্যমূল্যে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজারে বা পয়েন্টে এই শপগুলো বানানো হবে। আর এই শপগুলোতে পণ্য সাপ্লাই দেওয়ার জন্য থাকবে বিশাল এক কোল্ড স্টোরেজ যেখানে দীর্ঘ সময় পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণ করা যাবে এবং যেকোনসময় প্রয়োজন অনুযায়ী শপগুলোতে যোগান দেওয়া হবে। এর আওতায় থাকবে পচনশীল দ্রব্য তথা তরিতরকারি, শাকসবজি, মাছ মাংস, দুধ, ডিম। চাল, ডাল, তেল,  লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হবে সুপারশপের পণ্য।  মোট কথা মানুষ যাতে অন্তত চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু,  ডিম, তরিতরকারি শাকসবজির অভাব না বোধ করে তাই করব।


আমার ইচ্ছা  একটি বৃহদাকার বা দানবাকৃতির অটোরাইসমিল দিব, যেখানে প্রতিদিন শত শত মেট্রিকটন চাল বের হবে। যার ফলশ্রুতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। মোটকথা সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিজেই উৎপাদন করে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করব।

আর দেশের একজন মানুষও যাতে না খেয়ে থাকে, সেজন্য এমন একটা রেডিমেইড ফুড আইটেম যা হবে খুবই সস্তা, সুস্বাদু  কিন্তু পুষ্টিকর ও মানসম্পন্ন, যা ভাতের পরিপূরক   এবং ক্ষুধা নিবারণ হয়,  তেমনই একটা খাবার মানে একের ভিতর সব পুষ্টি থাকবে। আমিষ, শর্করা, স্নেহ, ভিটামিন সব খাদ্য উপাদানই দেওয়া হবে। বেসিক্যালি মাছ মাংস ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণে এটা তৈরী হবে, যা খেতে অবশ্যই সুস্বাদু হবে। যার মূল্য হবে মাত্র ১০-১৫ টাকা। যাতে ১০-১৫ টাকা দিয়েই একজন মানুষের একবেলার খাবার জোটে সে ব্যবস্থাই করতে চাই। আর এই প্রোডাক্টটি অবশ্যই যাতে ২-৩ দিন সংরক্ষণ করা যায়,  সেরকম চেষ্টা আছে। অনেকটা কেক জাতীয়, তবে কেক এর মত এটা মিষ্টি না, বরং ঝালজাতীয়। 

 কারণ মিষ্টি আমরা সবাই ভালবাসি, তাই বলে কোন তরকারি যদি ঝাল ছাড়া শুধু  চিনি দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে কেমন হবে?  কয়বেলা খাবার খেতে পারবেন? একবারও না। আমরা সকালের রুটি পরোটার সাথে হালুয়া খুজি না, খুঁজি মাংসের ঝোল ডাল আর আলুভাজি। আর সেই চাহিদাই পূরণ করবে আমার উদ্ভাবিত খাবার।


এর ফলে আমরা যতখুশি তত মাছ, মাংস, ডিম,  আলু উৎপাদন করে সেগুলো খাদ্যে রুপান্তরিত করতে পারব। পৃথিবীতে এখনও যেমন অসংখ্য মানুষ না খেয় থাকে, ঠিক তেমনি অসংখ্য জমিজমা অনাবাদি থেকে যায়। সেজমি গুলো যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী আবাদ ও ব্যবহার করা যায় এবং সকলের মাঝে উৎপাদিত ফসলের সুষম বন্টন করা যায় তাহলে আমার মনে হয়,  পৃথিবীতে কেউ না খেয়ে থাকবে না।

এক্ষেত্রে আমার উদ্ভাবিত  কেক বা রুটিটি হতে পারে সেরা নিয়ামক । all in one food.

ভোগে সুখ নাই,  ত্যাগেই একমাত্র সুখ।

মানুষ মানুষের জন্য

জীবন জীবনের জন্য।

জন্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে

আর সৃষ্টির আনন্দ অপরিসীম। 

পুঁজিবাদ নিপাত যাক, জয় হোক মেহনতী মানুষের।


ধন্যবাদ

https://www.facebook.com/safiqual.islam.1

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url