খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে।

  সব ভাইদের আমার সালাম এবং শুভেচ্ছে। একটা বিষয়ে সব ভাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি। সেটা হলো আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে সবচেয়ে খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে।

 জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি সহ আর নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয় আমাদের মোকাবেলা করতে হচ্ছে যেমন, অসময়ে বন্যা,খরা, অতিবৃষ্টি, সময়মত বৃষ্টি না হওয়া, অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রকোপ যা সৃষ্টির সেরা জীব হিসাবে আমরাই সহ্য করতে পারি না। 

এমতাবস্থায় ফসল সহ্যক্ষমতাটা আমরা নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছি। গ্রামীন একটা প্রাবাদ আছে """" এক ঘুচি আর এক কাচি"" মানে হচ্ছে এটাই যে কৃষকেরা আগের ফসলের জমিতে চারা রোপন করে চলে আসতো আর ধান কাটার সময় হলে ধান কেটে ঘরে তুলতো কিন্তুু জলবায়ু পরিবর্তন এবং অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে এখন আর এই প্রবাদটি মানানসই নয়।এখন  ফসল উৎপাদনের জন্য চারা উৎপাদন থেকে শুরু চরা রোপন এবং ফসল কর্তনের পূর্ব পর্যন্ত বিভন্ন রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়। এই দীর্ঘ সময়ে ফসলকে রোগমুক্ত এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে ফসলেকে রক্ষা করতে ব্যাবিচারে আমরা বালাইনাশক ব্যাবহার করছি যা ফলে পরিবেশের উপর যেমন প্রভাব পরছে তার সাথে সাথে মানুষ তার প্রতিফল ভোগ করতে শুরু করছে ( বিভন্ন রকম রোগ,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া) এবং সেই সাথে ফসলের পোকামাকড় ও রোগে আক্রমণ আরো তীব্র হচ্ছে। এই কয়েকবছর যাবত কীটনাশক চাড়াত ফসল উৎপাদনের কথা চিন্তাই করা যায় না।  কি এমন হলো হঠাৎ করে ফসলের রোগ আর পোকামাকড়ের উপদ্রব এতোটা বেড়ে গেলো। 

সামান্য একটু  মূল বিষয়ে আজকে কথাটা শেষ করবো,  ফসল উৎপাদনের ফলে রোগ এবং পোকামাকড় ধমনে আমরা যারা যে পরামর্শ প্রাধান করছি তার বিপরীত পতিক্রিয়াটা একটু যেন চিন্তা করি। যে মাঠে ফসল উৎপাদন হচ্ছে সেই মাঠে বর্ষা মৌসুমে মাছের আবাস্থল হিসবে আবহমান কাল থেকে দেখে আসছি। কিন্তুু ফসল উৎপাদনের সময় নির্বিচারে কীটনাশক ব্যাবহার করে খাদ্য যেমন বিষাক্ত করে তুলছি তেমনি মাছের আবাসস্থল কতোটা নিরাপদ রাখছি আর  সেই মাছ কতোটা নিরাপদ পরিবেশ  উৎপাদন বা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার প্রশ্নটা নিজে নিজেই খুঁজতে থাকুন। ফসল উৎপাদনে সময়ে নির্বিচারে কীটনাশক ব্যাবহারে যেমনটা খাদ্যকে বিষাক্ত করে তুলছি তেমনি মাছের আবাসস্থল বিষাক্ত করে মাছকে বিষাক্ত করে "মাছে ভাতে বাঙালি"  কথাটা " বিষাক্ত ভাতে আর বিষাক্ত মাছে  ভাঙালি" করতে যাচ্ছি। 

 পরিশেষে একটা কথা বলতে চাই যে রোগ দমনের চেয়ে প্রতিরোধ করাটা উত্তম সেই প্রচেষ্টা  সবাইকে করতে হবে।  তার ভালো বীজ এবং বীজশোধনের প্রতি গুরুত্ব বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ এখন বিভিন্ন কোম্পানির যারা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন কোম্পানির সেল বাড়ানোর জন্য তারা যেন মাঠ পর্যায় গিয়ে শুরু থেকে কৃষকদের পরামর্শ প্রধান করেন এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা মাথায় রাখেন।

ধন্যবাদ

akmol.phatan

সৌজন্যে---------------------


  নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url