ধানের ব্লাস্ট রো
ধানের নেক বা শীষ ব্লাস্ট রোগ
এটি এক ধরণের ছত্রাকজনিত মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ। Magnaporthe oryzae নামক ছত্রাক দ্বারা এই রোগটি হয়ে থাকে।
শিশির বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ধানের শীষের গোড়ার সংযুক্ত স্থানে পানি জমে। ফলে উক্ত স্থানে ব্লাস্ট রোগের জীবাণু আক্রমণ করে। ফলে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বা কালো রঙের দাগ পড়ে। এক পর্যায়ে ধানের শীষের গোড়ায় পচন ধরে। গাছের গোড়া পচে যাওয়ার জন্য গাছের খাবার ঠিকমতো শীষে যেতে পারে না তাই শীষ ভেঙে যায়। ধানের পরিপুস্ট হওয়ার আগে এই রোগ হলে শীষের সব ধান চিটা ধান হয়ে যায়।যদি ধান গাছের মিল্ক স্টেজে রোগটি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে চিটা ধান পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি অনেক পরে আক্রান্ত হয় তবে নিম্নমানের ফসল পাওয়া যাবে।
ব্লাস্ট রোগটি হওয়ার কারণঃ (অনুকূল পরিবেশ)
1.দিনের বেলায় গরম (২৫°-২৮° সেন্টিগ্রেড), রাতে ঠান্ডা (২০°-২২° সেন্টিগ্রেড)
2.অধিক আদ্রতা(শতকরা ৮৫ ভাগ বা তার বেশি)
3.শিশির ভেজা দীর্ঘ সকাল
4.মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, ঝড়ো আবহাওয়া
5.গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
পরামর্শ: জমিতে পানি ধরে রাখুন ।
ধানের শীষ বের হওয়ার আগ মুহুর্তে এবং বের হওয়ার পর (৭ -১০দিন ব্যবধান) একর প্রতি এমিস্কোর -২০০ মিলি অথবা ক্রপসেপ ৫০মিলি হারে শেষ বিকেলে স্প্রে করুন ।
সৌজন্যে---------------------
মুরগীর খারাপ অভ্যাস বন্ধ করতে খামারীদের কী করা উচিত।
ফেরোমন ফাঁদ স্থাপনে যে ভূলগুলো হয়।
লেবু গাছের পাতার ক্যাংকার রোগের সমাধান।