ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের বৈশিষ্ট্য|
কৃষিপ্রধান দেশে বাস করেও আমরা কৃষিভিত্তিক কাজকে আমরা এখনো অবহেলা করে চলি। আর কৃষকসমাজ তো এটাকে নিয়তি বলেই মেনে নেয়। যাকে বদলানো যায়না।
আমিও বদলাতে চাইনা তবে যত্ন নিতে চাই। শক্তিশালী করতে চাই, টেকসই বানাতে চাই। আমাদের সাধ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে শ্রেষ্ঠটা।
আজকে আমি এমন একটা অনুজীব নিয়ে কথা বলবো যা আমাদের কৃষি ভবিষ্যতের টার্নিপয়েন্ট হতে পারে। যাকে আমরা ট্রাইকোডার্মা নামে চিনি।
এগুলো একধরনের ছত্রাক। বলা যায় রাক্ষুসে ছত্রাক যা অন্য ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, নেমাটোডসকে গ্রাস করে ফেলে এবং পচনে ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে উদ্ভিদের ক্ষতিকর সব ছত্রাক মেরে প্রাকৃতিক সুরক্ষা দান করে।
ট্রাইকোডার্মা ছত্রাকের কিছু স্পেশাল বৈশিষ্ট্যঃ
* দ্রুত বর্ধনশীল।
*কক্ষতাপমাত্রায় (২৫-৩০) তাপমাত্রায় সর্বোচ্চ বংশবিস্তার ঘটে।
* উদ্ভিদের উপর ক্ষতিকর প্রভাব এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
* প্রায় সকল প্রকার ছত্রানাশকের উপর এই গোত্রের ছত্রাক সেনসিটিভিটি দেখায়।
* বিভিন্ন ফরমুলেশনে এই জমিতে ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ জৈবসারের সাথে মিশিয়ে, পাউডার ফর্মে ইত্যাদি। তবে ফলিয়ার স্প্রে হিসেব ব্যবহারের কার্যকারিতা সম্পর্কে এখনো অনিশ্চিত। তবে আশা করা সেটাও করা যাবে।
* অক্সিজেন এর উপস্থিতি, অনুপস্থিতি দুই কন্ডিশনেই বাঁচতে পারে।
* ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত ট্রাইকোকম্পোস্ট জমিতে একদিকে যেমন উৎকৃষ্ট সার হিসেবে কাজ করে অন্যদিকে ছত্রানাশক হিসেবে গাছের বর্ডারগার্ড এর মত কাজ করে।
পরিশেষে বলা যায়, ট্রাইকোডার্মাকে বলা যেতে পারে গাছের সকল রোগের এক ভাক্সিন।
ধন্যবাদান্তে,
শামীম রেজা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
সৌজন্যে---------------------
নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন
জৈব সারের ব্যবহার এবং গুরুত্ব।
কেঁচো জৈব সার কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।
সারের কাজ কি? অভাবজনিত লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলাফল কি?