কেশরাজ গাছের গুণাগুণ।
কেশরাজ গাছের গুণাগুণ।
নামে কেশরাজ নামটি
উল্লেখ করা হয়েছে। কেশরাজ
মানে চুলের রাজা। বিউটি পিপাসুরা যুগে যুগে নিজেকে
অন্যের থেকে আলাদা করতে
ব্যস্ত। তাই এই গাছের
পাতা, কান্ড, ফুল এবং ফল
চুলের যত্নে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটিতে অ্যালকোলয়েড স্টেরল, উডে লোলকটোন, লুটলিন
গ্লাইকোসাইড, ট্রাইটারপিন গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে।
এটি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই গাছটি সাধারণত
ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং
ব্রাজিলে দেখা যায়। এটি
সাধারণত জলাশয়ের তীরে বা বনে
থাকতে দেখা যাই। এই
গাছটি যেখানেই হোক না কেন
অযত্নে বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুন চিয়া
সীডের পুষ্টি গুণাগুণ
গোল্ম জাতীয় গাছটিন রস বহুল ব্যবহৃত
হয়। এটি দেখতে লাতানো।
শাখা থেকে শাখা। এগুলির
দৈর্ঘ্য ৫০/৬০সেমি পর্যন্ত
হয়। এর শাখাগুলি বিপরীত
দিক থেকে প্রশাখা হয়
। শাখার মতো পাতাও বিপরীত
দিক থেকে বেরিয়ে আসে।
পাতা এবং ফলের রং
সবুজ। পাতাগুলি সাধারণত ৫/৬ সেমি
লম্বা হয়। শাখার শেষে
দুটি থেকে তিনটি ফুল
ফোটে। এর ফুলগুলি অনেকগুলি
সাদা পরাগে সমন্বয়ে গঠিত। ফলগুলি পাকলে, মাটিতে পড়ে এবং নতুন
গাছ আবার জন্মায়।
দৈনন্দিন জীবনে কেশরাজ গাছের উপকারিতা:-
১.এটি চুলের জন্য
খুব উপকারী। যখন এর রস
এবং তেল মিশ্রিত করে
মাথাই ব্যবহার করা হয় তখন
এটি মাথার চুল শক্ত এবং
শক্তিশালী করে, চুল পড়া
বন্ধ করতে খুব কাজের।চুল
ঘনও করা এবং কালো
করা এবং মাথার উকুনের
প্রতিশোধক হিসাবে কাজ করার জন্য
এটি চুলে প্রয়োগ করা
হয়।
২.আপনার মাথা ব্যথা থাকলে
নাক এবং মাথাই এই
রস দুটি ফোঁটা মালিশ
করে আপনি এই ব্যথা
থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৩. কাটা স্থানে গাছ
রস লাগালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় এবং
ক্ষতটি দ্রুত শুকিয়ে যেতে সহায়তা করে।
৪.কেশরাজ রস লিভার ও
কিডনির রোগ প্রতিরোধে খুব
উপকারী। চুলের ফলিকিতে অ্যামিডোপিরিন, এনডিমিথিলিন গ্লুকোজ -৬ ফসফেটের কার্যকারিতা
নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং লিভার
সিরোসিস, লিভারের প্রদাহ এবং জন্ডিস দূর
করতে সহায়তা করে। এটি মূলত
লিভারের টনিক উপাদান হিসাবে
কাজ করে।
৫.প্রতিদিন এক চা চামচ
গাছের রস এবং আধা
কাপ পানি মিশ্রিত করে
খেলে রক্তের প্রবাহ থেকে সমস্ত ধরণের
ক্ষতিকারক পদার্থ সরিয়ে দেয়।
৬.কেশরাজ রস কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের
ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
৭.আধা কাপ পানিতে
নিয়মিত দু চা চামচ
রস মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
করা যায়। এটি মূলত রক্তে
শর্করার মাত্রা এবং গ্লাইকোসিল্যাটেড হিমোগ্লোবিনের
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
.কৃমি থেকে মুক্তি
পেতে নিয়মিত আধা কাপ পানিতে
দু চা চামচ রস
মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলুন।
এই সমস্ত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, এর
ব্যবহারে অবশ্যই যত্ন নেওয়া উচিত।
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত:
১.অ্যালার্জির সমস্যা যাদের আছে তারা এড়িয়ে
চলুন। কারণ এতে অ্যালার্জেন
রয়েছে।
২.এটি গর্ভবতী মহিলা
এবং নবজাতকের পক্ষে ক্ষতিকারক।
৩.কমোথেরাপির সময় এটি ব্যবহার
না করাই ভালো।
অবশেষে একজন ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ করুন এবং ওভারডোজ
থেকে দূরে থাকুন। নিজে
সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করুন। গাছ গাছড়া থেকে
সতর্ক থাকুন।না জেনে বুঝে ব্যবহার
করা উচিত নয়।ব্যবহারের আগে
ভালো করে ধুয়ে ব্যবহার
করা উচিত।
---------------------