পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।
পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।
রোগের কারণঃ
পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অর্থকরী মসলা ফসল ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ভোগ্যপণ্য। প্রতিদিনের রান্নর কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এ ছাড়াও পেঁয়াজে অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। দেশের চাহিদার তুলনায় এ ফসলের উৎপাদন নিতান্তই কম। উৎপাদন কম হওয়ার জন্য রোগবালাই একটি প্রধান কারণ। পেঁয়াজে পার্পল কাণ্ড পচা রোগ দেখা যায়। এই রোগসমূহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই পেঁয়াজের কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
আজকে আপনাদের সথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আপনারা দেখে বুঝে গেছেন যে-পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ বর্তমান সমায়ের একটা বড় সমস্যা আমাদের চাহিদা পূর্ণ একটি বীজ হলো পিয়াজ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কৃষি উপকরণ আমাদের দেশের পেয়াজের সংকট দূর করতে হলে অবশ্যই পেয়াজের বীজের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।
এ জন্য আমাদেরকে পেয়াজের বীজ উৎপাদন বাড়াতে হবে। আজ আপনাদের সামনে এসে হাজির হয়েছি পিয়াজের পাতা পোড়া রোগের প্রতিকার নিয়ে ।আজকে পেয়াজের প্রধান সমস্যা পাতা পোড়া । আজকের আলোচনা করবো- পেয়াজ চাষ বা বীজ করতে গেলে প্রথমে আপনার যে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়ে থাকে তা হলো পেয়াজ গাছের পাতা পোড়া রোগ। সংক্রমণের পাশাপাশি যেটা হয় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে কালো বা লাল /হলুদ ধরনের দাগ পড়ে এটা যদি আমরা কন্ট্রোল না করতে পারি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারি। আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ গাছ নষ্ট হয়ে যায় এবং পেয়াজের ব্যাপকভাবে উৎপাদন কমে যায়।
আপনার দেখেন যে গাছের ডগায় কালো বা হলুদ হয়ে যায় এটা একটা অন্যতম সমস্যা।পেয়াজের গাছ যখনছোট থাকে তখন পাতায় আক্রমণ করে। এই পাতা পোড়া রোগ দেখা মাত্রই আমাদেরকে দমন বা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে আর দমন করতে গেলে আমাদের যে কাজটি করতে হবে।
পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ রোগ
রোগের লক্ষণ
১.প্রথমে
পাতা ও বীজ বাহী কাণ্ডে
ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী
বা হলুদ রঙের দাগ
সৃষ্টি হয়।
২. দাগ গুলি
ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে
বড় দাগে পরিণত হয়।
৩. দাগের মধ্যবর্তী
অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো
বর্ণ ধারণ করে এবং
দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।
৪. আক্রন্ত পাতা
ও উপরের দিক হতে পাতা
মরে যেতে থাকে। ব্যাপক ভাবে আক্রন্ত পাতা
৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে
হলদে হয়ে মরে যায়।
৫. বীজবাহী
কাণ্ডের গোড়ায় আক্রন্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে
হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।
৬.এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।
৭। রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।
প্রতিকার
১. সুস্থ,
নীরোগ বীজ ও চারা
ব্যবহার করতে হবে।
২. আক্রন্ত গাছের
পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে
হবে।
৩. রোভরাল
বা প্রোভেক্স-২০০ নামক ছত্রাক
নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে
২.৫ গ্রাম হারে
মিশিয়ে বীজ শোধন করে
বপন করতে হবে।
৪.রোগ
দেখা দিলে প্রতি লিটার
পানির সাথে ২ গ্রাম
রোভরাল/২ গ্রাম রিডোমিল
গোল্ড/২ গ্রাম মেনকোজেব
মিশিয়ে ১০-১২ দিন
পর পর ৩-৪
বার গাছে স্প্রে করতে
হবে। বীজ পেঁয়াজের ক্ষেতে
একই ছত্রাক নাশক একই পরিমাণে ১০-১২ দিন পর
পর ৫-৬ বার
স্প্রে করতে হবে।
অথবা
যেকোনো রোভরাল /ইপ্রিডিয়ন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম এবং
একইসাথে এ্যাজোক্সিট্ৰবিন+ডাইফেকোনাজল গ্রুপের তরল ছত্রাক নাশক ১ মিলি হারে একসাথে মিশিয়ে ডাটাসহ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
সকলকে ধন্যবাদ।
সৌজন্যে---------------------
ভিডিও দেওয়া হলো দেখতে ক্লিক করিুন।
পিয়াজের পাতা পোড়া রোগ ।
ভিডিও দেওয়া হলো দেখতে ক্লিক করিুন।