জৈব চাষ।
দিনের পর দিন খুব দ্রুতগ তিতে জৈব চাষ বেড়েই চলেছে, যারা জৈব চাষকেই বেশি গুরুত্বদেন, নিস্বন্দেহে খুব ভালো সিদ্ধান্ত, এটাতে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিপায়, নিরোগ সুস্থ ফষল উতপাদন করাযায়, পরিবেশ দুষন কমেযায়, রাষায়নিকমুক্ত ফসল পাওয়াযায়, কিন্তু আমার প্রশ্ন এখানে,
1.. এই পদ্ধতিতে কি খরচ কমহয়? 2.. এটাতে কি লাভ নিশ্চত? 3.. এই ফষলের কি স্পেশাল কোনো দাম পাওয়াযায় ?4.. সাধারন রাষায়নিক শব্জির তুলনামুলক এই শব্জির দাম কি অনেকটায় বেশি? নাকি সমান? 5..জৈবচাষে উতপাদিত ফষলের কি আলাদা কোনো মার্কেট আছে? 6 সব ধরনের ট্রিটমেন্ট কি জৈবভাবে আদৌ সম্ভব? অনেকেই বোলবেন হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব, তাদের কাছে জানতেচায়, কয়েকটা প্রশ্ন, সব ধরনের মাকড় মারাপোড়বে এমন কোনো মাকড়নাশক আদৌ কি বাজারে বেরিয়েছে? যেটা অবশ্যই জৈব, অনেকেই বেশকিছু জৈব মাকড়নাশকের নাম বোলবে, তবে তার টেকনিকাল উপাদান কি আছে? এটা উল্লেখ কোরবেন, মাকড়নাশকের যতগুলি ফরমুলেশন আছে তা আমি বোললাম (ফেনাজাকুইন, ফেনপারঅক্সিমেট, প্রোপারগাইড, ডাইকোফল,স্পাইরোমেসিফেন, ডাইমিথোয়েট, প্রোফেনোফস) এগুলি সবই রাষায়নিক! এবারে বলি ব্যাকটেরিয়ানাশক
(স্ট্রেপটোসাইক্লিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, প্লান্টোমাইসিন, ক্রিস্টোসাইক্লিন) এগুলি সব টেকনিকাল উপাদান, এবারে বলছি কৃমিনাশক, যেটাকে নিমাটোড বলাহয় (কার্বোফিউরান, ফ্লুওপিরাম) এইসব রোগের হাতথেকে ফষলকে বাচানো প্রায় অসম্ভব, তবে সময়মতো এইসব মেডিসিন ব্যাবহারে 70% ফসলকে বাচানোযায়, কোনো জৈব ওষুধ আজও তৈরিহয়নি, তায় ফষলে যখন যেটা দরকার তখন সেটাই ব্যাবহারকরা দরকার, তা সেটা জৈব হোক বা রাষায়নিক, আয়ুর্বেদ বা হোমিওপ্যাথি চিকিতসা যেমন খুব ভালো, তেমনি যখন মারনঘাতি রোগ যেমন, ক্যানসার, স্ট্রোক, হার্টএটাক, বিভিন্ন অপারেশন তখন হসপিটাল একমাত্র ভরষা, আর সেখানেই ছুরিকাচি আর রাষায়নিকে তৈরি সমস্ত ঔষধ! ঠিক কৃষিতেও এমনটায়, এখন যারা মানুষের ভালোর জন্যেই জৈব চাষ কোরছেন, তাদেরকে বলছি যাদের জন্য আপনি সুস্থফষল তৈরি কোরছেন, তারাই আপনার ফসল যত কমে কেনাযায় সেই চেষ্টায় কোরবে, বিনিময়ে আপনি যখন কিছু কিনবেন মিষ্টিতে রং, চালে পাউডার, পটলে রং, ওষুধে পাকানোফল, ইনজেকশনে পাকানো তরমুজ, রাষায়নিক খাবারে তৈরি পোল্টির মাংস, মোমদিয়ে তৈরি চকলেট,
(আপনি পুড়িয়ে দেখতেপারেন) রং মাখানো মাছ, সব কিছুতেই ভেজাল, তবুও তাদের জিনিষের দাম বেড়েই চলেছে, যাদের জন্য আপনি প্রানপন চেষ্টা কোরছেন, তারাই আপনাকে বাঁশদিয়ে ছেড়েদিচ্ছে, প্রতিবাদ উঠবে তখন, যখন ফষলের দাম বাড়বে, আর যখন ফষলের দাম নিম্নমুখি তখন তারা প্রতিবাদের বদলে জৈবচাষে আগ্রহি হতেবলবে, কারন হাজারো জৈব কোম্পানি ব্যাবসায় নেমেছে, তারা সরকারের কিছু বাছায়করা হেভিওয়েট লোকেদের দারা তাদের প্রোডাক্ট চড়াদামে চাষিদের কাছে বিক্রির এক অভিনব ফাদ তৈরিকরেফেলেছে, তায় এসব ফাদে না পড়ে, আপনার যখন যেমনটা কৃষিতে প্রোয়োজন তেমনটায় ব্যাবহারকোরুন, আপনি ব্যাবসা কোরছেন, কৃষিব্যাবসা, তায় লাভেরজন্য আপনি যেকোনো পথ বেছেনিতেপারেন, কার ভালোহচ্ছে কার খারাপ হচ্ছে, দেখার দরকারনেই, তবেই আপনি সফলতা পাবেন, মনেরাখবেন লসখেলে
কেউ ক্ষতিপুরন দেবেনা, বা পাশেও থাকবেনা, তবে চেষ্টা কোরবেন যতটা জৈবভাবে ফষল উতপাদন করাযায়, কোরবেন, কিন্তু ভুলেও 100% নিরাপদ জৈবচাষ সম্ভব না, যদিও সম্ভব হয়েথাকে, ফলাফল বা পারিশ্রমিক 0%, আপনি জৈব চাষ কোরছেন কিন্তু রাষায়নিক চাষের জমি আপনাকে ঘিরে রেখেছে, সেখানথেকে বেচেআসা রোগপোকা আপনার জমিতে চলে আষবে তখন আপনি কখোনোই জৈবদমন কোরতে পারবেননা, তারাসবাই লাভকরে বেরিয়েযাবে, লসে পোড়বেন আপনি, অনেক কথা বলারছিল, তবুও খুব সংক্ষেপে বোলতে চেষ্টাকোরলাম।
সংগ্রহ -কৃষি পরামর্শ গ্রুপ মেম্বার।
সৌজন্যে---------------------
নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন
জৈব সারের ব্যবহার এবং গুরুত্ব।
কেঁচো জৈব সার কি এবং বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার।
সারের কাজ কি? অভাবজনিত লক্ষণ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলাফল কি?
বীজ থেকে চারা তৈরীতে কোকো পিটের ব্যাবহার।