আমের বাম্পার ফলন হবে।
আমের বাম্পার ফলন হবে।
আমের গাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। আমের মুকুলও বিভিন্ন ফুলের সাথে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। প্রকৃতি আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ পাচ্ছে। মৌমাছির ঝাঁক তার মজাদার শব্দে মধু সংগ্রহ করা শরু করেছে। মৌমাছিদের এই গুণটি অনেক প্রকৃতি প্রেমীদের মনকেও আকর্ষণ করে। মুকুলের মিষ্টি সুবাস মানুষের মনে আলোড়িত করছে। এখন থেকে গাছের মুকুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে এখন এটি বাড়ছে।
এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি। আমের চাষীরা এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলন আশা করছে। ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সময়োপযোগী যত্ন না থাকলে চলতি মৌসুমে আমের ভাল ফলন হবে। আর এ কারণেই আমের কৃষকরা আশা নিয়ে মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। তাদের আশা এই মৌসুমে তারা আমের থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই আমের কম বেশি বাগান রয়েছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে সদ্য বিকশিত আমের বাগানে প্রায়শই বনাঞ্চলের জাত রয়েছে। বিশেষত নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, লতা, বোম্বাই লতা, ফজলি, হিমসাগর, অর্পালি, কাঁচা মিষ্টি, অশ্বিনা জাত আরও বেশি হয়ে উঠছে। রাজশাহী এলাকায় আমের বাগানের সংখ্যা বেশি।
এবছর আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূল। গত বছরের তুলনায় এ বছর অবিরাম শীত এবং কুয়াশার তীব্রতা অনেক কম। গতবারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টি হয়নি। ইতিমধ্যে অনেক গাছে কুড়ি আসতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন উপজেলার আমগাছের ফাল্গুনে পর্যাপ্ত অঙ্কুর থাকবে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। আম চাষকারী জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে তারা মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে সাইপারম্যাক্সিন এবং কার্বারেল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে পুরো গাছ স্প্রে করছেন। এটি গাছটিকে হপার পোকামাকড় সহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। পোকা সঠিক সময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে আমের ফলন হ্রাস পাবে। সব মিলিয়ে প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে বর্তমান সমায়ে যতি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তা হলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
সৌজন্যে---------------------
আম ও লিচু গাছের মুকুলের পরিচর্যা।