রকমেলন চাষ।

 রকমেলন চাষ।

রকমেলন চাষ।

 পরিচিতি:

বাংলাদেশর কৃষিক্ষেত্র বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজি চাষ হয়।তবে যে ধরণের ফসল চাষ করা হয় তা বিক্রি করে উৎপাদন ব্যয় উঠানো খুব কষ্টের । তাই ইদানীং, চাষের পরিবর্তন হয়েছে, স্থানীয় শাকসব্জির পাশাপাশি বিদেশি শাকসব্জী এবং ফলমূলও চাষ করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম উপকারী ফল হলো  রকমেলন। যা কৃষির সাথে যুক্ত হলে স্মার্ট কৃষি উদ্যোক্তাদের উত্পাদনের পরিবর্তন করতে পারে সাথে লাভের পরিমান বেশি হবে।


রকমেলনের  পুষ্টিকর ও গুণমান:-

এটিতে প্রায় ৯০% জল এবং ৯% কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা উচ্চ রক্তের শর্করাযুক্ত থাকায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না।এছাড়াও, ভিটামিন এ, সি এবং ডি রয়ছে যা দৃষ্টিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

জাত  নির্বাচন:-

কোন ফসল উৎপাদন করবো তা  নির্বাচন প্রধান সমস্যা। আপনার প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করে সঠিক নির্বাচন  বেছে নেওয়ার উপর। বাংলাদেশে চাষ করা সমস্ত জাতের মধ্যে আমরা যে রকমেলন জাতটি দেখেছি তা বেশ ভালো ফলন হয়।


রকমেলনের বৈশিষ্ট্য:-

 এই জাতটি প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায়।

 ফলটি হালকা বাদামি ধূসর বর্ণের হয়।

 ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাদে মিষ্টি।

 ফলের গড় ওজন ১.৫ কেজি থেকে২.৫ কেজি হয়।


 চারা রোপণের সময়:-জানুয়ারীর ২ সপ্তাহ থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি এবং আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়।

জমি প্রস্তুতি:-

 দো-আশ মাটি রকমেলুন চাষের জন্য সেরা। ইটাল এবং বেলে দোআঁশ মাটিতেও চাষ করা যায়। জমিটি বাছাই করার পরে মাটি পুরোপুরি ৫-৬ টি চাষের সাথে আলগা করে  সার দিতে হবে।

 ইউরিয়া ১০ কেজি

টিএসপি ৪৫-৫৫ কেজি

 এমওপি ৩৫-৪৫ কেজি

 জিপসাম ১0-১৫ কেজি

 ম্যাগনেসিয়াম ৪ কেজি

  দস্তা ১ কেজি 

 বোরন ১.৫-২ কেজি

ভার্মিকম্পোস্ট৩00-৪00 কেজি

২-৩  টন গোবর (কেবল বেডে প্রয়োগ করতে হবে)

সম্পূর্ণ সার মিশ্রিত করে শেষ চাষের জন্য জমিতে বেড  তৈরি করতে হবে।

বেডের  আকার

 প্রস্থ ৩.২৫ ফুট

 দৈর্ঘ্য পরিমাণের মতো

 উচ্চতা ১ ফুট

 প্রস্থ ১.৫  ফুট

গভীরতা ১.২ ফুট

সারি থেকে সারির দূরত্ব ২.৫ ফুট

 চারা থেকে চারা পর্যন্ত দূরত্ব ১.৫  ফুট।


সৌজন্যে---------------------

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url