মুলা চাষে জাত ।
মুলা চাষে জাত ।
মুলা পুষ্টিকর শাকসব্জী হলেও অনেকে মুলা খেতে পছন্দ করেন না। মূলা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। এদেশে মুলার চাষ দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত অফ-সিজনে কৃষকরা মুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
জমি এবং মাটি:-
মাঝারি এবং মাঝারি নিম্ন জমি গুলোতে মূলা চাষ করা যায়। ভাল জল নিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি মুলা চাষের জন্য ভাল। ইটাল মাটিতে মুলার বৃদ্ধি কম হয়। মুলা চাষ করতে গেলে জমির মাটি গভীর করে চাষ করতে হয়। ছাই ও জৈব সারের বেশি ব্যবহার করলে মুলার বৃদ্ধি আরও ভালো হয়।
জন্ম
একসময় জাপানে বিখ্যাত তাসাকি সান জাতের মূলার মাধ্যমে এ দেশে উচ্চ ফলনশীল মূল্যের চাষ শুরু করা হলেও এখন প্রায় ২0- ২৫ টি জাতের মূলার আবাদ করা হচ্ছে। নতুন স্বল্প-কালীন উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতগুলি সর্বদা চাষ হয়ে আসছে। উল্লেখযোগ্য জাতগুলি হলো বারি মুলা ১, বারি মুলা ২,, হিমালয় এফ ১, সুপার ৪০, মুক্তি এফ ১, তাসাকি, দ্রুত ৪0, রকি ৪৫ সাদা রকেট, সাদা ৪0, সুফলা ৪0, বিএসবিডি ২১০১ আনারকলি, দরবার, রকেট এফ ১, সামার বেস্ট এফ ১, হ্যাভেন এফ ১, বরকতী ৪0, পাইলট এফ ১, বারি মুলা৩,এভারেস্ট, হোয়াইট প্রিন্স, বিপ্লব ৯৪ ইত্যাদি। বারি জাতের মূলের পরিচিতি তুলে ধরা হল।
বারিমুলা ১ - ভাদ্র থেকে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪০/৪৫ দিন পরে মূলা সংগ্রহ করা যায়। মূলাটির রঙ সাদা, বেলুন আকৃতির, লম্বা এবং বড়, প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের প্রতিটি মুলার গড় ওজন ১ কেজি হয়। দেশীয় মূলা বলে কোনও জিনিস নেই। ফলন হেক্টর প্রতি ৭৫/৮০ টন।
বরিমুলা 2 - ভাদ্র থেকে কার্তিক মাসে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪০/৪৫দিন পরে মূলা তুলে বাজার জাত করা যায়। মূলাটির রঙ লালচে, দৈর্ঘ্যের প্রায় ২৫/৩০সেমি, মাঝারি আকারের, প্রতিটি মূলার গড় ওজন ৯00 গ্রাম। শাকসবজি খাওয়ার উপযোগী। ফলন হেক্টর প্রতি ৭৫/৮০ টন।
বারিমুলা-৩ - কার্তিক মাসে ভাদ্র থেকে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৪0-৪৫ দিন পরে তুলা যায় । মূলাটির রঙ সাদা। মূলাটির অর্ধেক অংশ মাটির ওপরে। প্রতিটি মূলার গড় ওজন ৪00-৬00 গ্রাম। হেক্টর প্রতি ৪0-৪৫ টন ফলন। জীবনকাল ৪0-৪৫ দিন। রোগের ও পোকার আক্রমণ প্রতিরোধী জাত।
ধন্যবাদ সবাইকে