কৃষি সম্প্রসারণ কতৃপক্ষের সাথে কৃষকদের আরও নিবিড় তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।



 করোনা মহামারির শোবল লেগেছে কৃষকের ঘরে ঘরে। করোনার কারনে কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। বিক্রি ও অনেক কমে গিয়েছে। কৃষক ধান চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। উত্তর বঙ্গে এবার শীতের প্রভাব বাড়তে পারে। এর ফলে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। লোকাল এনজিও গুলো অতিরিক্ত সুদ নিচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। এর ফলে কৃষকরা কৃষি চাষ থেকে সরে আসছে। তাছাড়া অকৃষিজ কাজ গুলোতে লাভ বেশি হওয়ার কারণে, কৃষকরা মোটেই ফসল চাষে আগ্রহী না। তাছাড়া ইন্ডিয়া থেকে স্বল্প মুল্যে কৃষি পণ্য নিয়ে আসার কারণে, দেশি কৃষকরা প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে উঠতে পারছে না। ফসলি কৃষকরা ক্রমেই তামাক কিংবা ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ক্রমেই চাল সংকটে পরবে। আর দেশি চাল এর মান ও পুষ্টি ইন্ডিয়ার তুলনায় অনেক বেশি। কৃষকদের পাশে সরকারের দাড়ানো দরকার। ভতুর্কি অনেক বাড়িয়ে দিতে হবে। সহজ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া চাল আমদানী করা বন্ধ করতে হবে। ফসলি কৃষকদের পুরষ্কৃত করতে হবে। কৃষকদের আরও উন্নত কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ কতৃপক্ষের সাথে কৃষকদের আরও নিবিড় তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।

সৌজন্যে ---Agri Journal BD



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url