থানকুনি পাতার উপকারিতা।

থানকুনি পাতার উপকারিতা।


ছবি - থানকুনি পাতা

থানকুনি একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ থানকুনি গাছ বা থানকুনি পাতার রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ।


 এটির বৈজ্ঞানিক নাম (Centella asiatica)।

 চলিত নাম- থানকুনি পাতা।  সর্বত্র পাওয়া যায় এই পাতা। বিশেষ করে রাস্তার পাশে পুকুরের ধারে সহজে দেখা যায়। রোগ চিকিৎসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। খাদ্য হিসাবে এই পাতা  খেলে  বিভিন্ন রোগরে প্রতিশোধক হিসাবে কাজ করে। ভেষজ হিসাবে এই পাতার যথেষ্ঠ  ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ্যায়। পাতাগুলো দেখতে গোলাকার ও সবুজ এবং ছোট আকৃতির। গাছ গুলোও আকারে ছোট হয়।

 থানকুনি পাতা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়

১/হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।

২/ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

৩/রক্ত দূষণ ভাল হয়।

৪/আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়।

৫/ক্রিমির প্রকোপও কমে।

৬/লিভারের সমস্যা ভাল হয়।

৭/চুল পড়া কমায় ও চর্ম রোগ রোধ হয়।

৮/রক্ত জমে থাকার আশঙ্কা কমায়।

৯/কাটা ও ক্ষত স্থানে থানকুনি বাটা বেশ উপকারী

১০/পেট ব্যথা ভাল হয় থানকুনিতে।

১১/মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে।

১২/অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।

১৩/ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

১৪/কাশি ও জ্বরের প্রকোপ কমে।

১৫/খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।

১৬/ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

১৭/পেটে গ্যাস এর সমস্যা কাটায় থানকুনি পাতার রস।

১৮/পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহার বেশ প্রচলিত চিকিৎসা।

১৯/মুখের ঘা সারাতে থানকুনি পাতা  উপকারী

২০/মুখ মলিন হওয়া ও লাবণ্যতা কমে যাওয়ায় থানকুনি পাতা বেশ উপকারী

২১/ঠাণ্ডায় বা সর্দি হলে থানকুনি পাতা উপকারী।

২২/ ঘন জ্বর ও আমাশয় রোগে  থানকুনির রস কাজে দেয়।

২৩/ মল পরিষ্কারভাবে না হলে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন।

২৪/ছোট বাচ্চাদের পেটের অসুখ এবং দেরিতে কথা বলা বা কথা অস্পষ্ট এই ক্ষেত্রে থানকুনি বেশ কাজের।

২৫/যৌবন ধরে রাখে।শরীর মন সুস্থ রাখতে খেতে পারে

 পড়ে বুঝতেই পারছেন কতো উপকার পাতাই তাই প্রতিদিন থানকুনি পাতার ভর্তা দুপুরে বা রাতে খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে।

১/কাঁচা দুধের সাথ খেলে গেস্ট্রিক দূর হয়।

২/সকালে থানকুনি পাতার রস আর মধরক্ত দূষণ দূর হবে।

৩/কাশি হলে  চিনির সাথে থানকুনি রস  করে খাবেন।

৪/আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে সকালে থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাবেন বা রস খাবেন।

৫/পেট ব্যথা ভালো হওয়ার জন্য গরম ভাতের সাথে থানকুনি পাতা ভেটে খাবেন।

৬/প্রতিদিন সকালে পাতার  রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রসেএক সাথে খেলে  লিভারের দোষে ভাালো হয় ।

৭/বিশেষ করে মাথর চুল পড়ে যাদের তাদের জন্য পাতাটি খুব কাজের।প্রতিদিন পাতা বেটে বা পেস্ট বানিয়ে মাথাই দিলে চুল পড়া কমে যায়।সাথে সাথে নতুন চুল গজাতে শুরু করে।

৮/বয়সের ছাপ পড়ে গেছে এমন ব্যক্তিরাও নিয়োমিত এই পাতা খেলে।চেহারার তারুণ্য ফিরে আসবে।

পরিশেষে বলবো যে থানকুনি পাতা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া এক বিশেষ নিয়ামত। এই পাতা খেলে হয়তো বা আমাদের ডাক্তারের কাছে কম যেতে হবে।প্রকৃতির দেওয়া ভেষস গাছ, গাছড়া, লতা, পাতা যদি আমরা যেনে বুঝে খেতে পারি হয়তো সুস্থ থকবো বেশি দিন।ডাক্তারদের দিতে হবে না বেশি বেশি টাকা প্রতিদিন কিনতে হবে না মেডিকেল সপ থেকে ঔষধ। 

সৌজন্যে---------------------


 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন             

বিভিন্ন ঔষধি গাছ।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছের অবিশ্বাস্য যত গুণ!

ড্রাগন ফলের বিস্ময়কর গুণাগুণ।

গাজরে পুষ্টি ও গুণাগুণ।

বিটা রুট সবজির উপকার।

সজনের ডাঁটাতে ও শাকে অবিশ্বাস্য সুবিধা

লেমন বাম ব্যবহার

ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধি গুণাগুণ।

ফুলকপি খাওয়ার সুবিধা বা উপকার।








Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url