স্ট্রবেরি চাষ ।

 ছাদে স্ট্রবেরি চাষ করুন মনের আনন্দে।



টবে স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি স্ট্রবেরি চাষ পদ্ধতি

স্ট্রবেরি নামটা শুনতেই যেন কেমন আনন্দ আনন্দ হ্যা পাঠক সেটাই।নামের সাথে যেমন মিল ফলটা খেতেও তেমনি মিল টক টক মিষ্টি।যতো পাবেন ততো খাবেন।
ছাদে বা বারান্দায় দারুণ ভাবে করতে পারেন স্ট্রবেরি। এর ঘ্রাণও হয় অসাধারণ। আর, এর টুকটুকে লাল কালারও আপনাকে পাগল করে দেবের মতো ব্যপার ।
স্ট্রবেরি চাষ করা খুব সহজ একটি ব্যপার। শুরু করে দিতে পারেন চাষ মনের আনন্দে । অক্টোবর থেকে জানুয়ারি স্ট্রবেরি চাষের আদর্শ সময় হয়ে থাকে এবং ফলের সাথে সাথে চারাও তৈরি করা যাই , জাস্ট ফলন একটু কম হয়।
প্লাস্টিক বোতল , মাটির টব বা ড্রাম যে কোন ধরনের তেলের বোতল কেটে, টিনের কৌটা বা মোটামুটি ৮-১০ ইঞ্চি ব্যাস হলেই- চারা লাগাতে পারেন। ১টি টবে ১টি চারাগাছ লাগানোটাই আদর্শ হবে । একটি টবে একটি চারা লাগানোই ভালো হবে।
মাটিতে গোবর বা কম্পোস্ট, ড্যাপ (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার ব্যবহার করতে পারেন। গোবর যেকোনো নার্সারিতেই পাওয়া যায়। একান্ত যদি ব্যবস্থা না হয়, তাহলে বাসায় শাকসব্জির ফেলনা অংশগুলো ব্লেন্ডার করে পঁচিয়ে নিলেই ব্যবহার করা যাবে।
সুস্থ সবল চারা সংগ্রহ করতে হবে। গাছের জন্য প্রচুর রোদ অপরিহার্য তাই রোদযুক্ত জায়গা নির্বাচন করবেন রোপনের জন্য। সরাসরি রোদ পড়ে এমন স্থান আবার রাতের বেলা শিশির লাগতে হবে। অর্থাৎ রোদ-শিশির দুটোই থাকতে হবে ঐ স্থানে।
স্ট্রবেরির চারা রোপনের কিছুদিন পর গোড়ার থেকে নতুন চারা জন্মাবে , যা দিয়ে আপনি গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন আবার রাখতেও পারেন। কিন্তু গাছে ফুল ও ফল চলে আসলে নতুন চারা না রেখে কেটে ফেলা ভালো হবে। মরাপাতা গুলো কেটে ফেলে দিবেন। একটু মাটি খুঁচিয়ে দিয়ে ও নিয়মিত পানি সেচের ব্যবস্থা করবেন।
চারা রোপনের এক মাসের বা একটু বেশি সময় লাগতে পারে ফুল আসতে এবং মাথায়ই ফুল আসা শুরু হবে। তখন ফুলের নিচে বা ফলের নিচে মাটির উপর খড়, পলিথিন, শোলা বা এমন কিছু দিন, যাতে ফল মাটি সাথে স্পর্শ না করে। মাটি স্পর্শ করলে ফলের রং ভালো হয় না এবং পঁচে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ভাল হয় ফলগুলো যদি টবের বাইরে ঝুলে থাকে বা ফাকা জায়গাতে থাকে । যতো ফাকাতে থাকবে ফল ততো ভালো হবে।
স্ট্রবেরিতে পাখিদের উপোদ্রব দেখা দিতে পারে এবং পাখির অতি প্রিয় খাবার। আপনি ওদের খেতে দেবেন কি-না সেটা আপনার ব্যপার। না চাইলে পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।পাখি তাড়ানোর জন্য পটকা ব্যবহার করতে পারেন। আমি পাখিদে খেতে দেই। বিশেষ করে বুলবুলি পাখি যখন আমার ঝাল টমেটো আর স্ট্রবেরি খায়, তখন আমার একটা স্বর্গীয় অনুভূতি হয়।
গাছে পোকার উৎপাত হলে কীটনাশক ব্যবহার না করে নিমগাছের পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি স্প্রে করুন। পোকামাকড়ে আক্রান্ত পাতা কিংবা ফুল সাথে সাথে কেটে ফেলে দিন। মাঝে মাঝে পাতা উল্টিয়ে দেখুন- নিচে মাকড়শা বা অন্য পোকারা বাসা বেঁধেছে কি-না। বেশি পোকা মাকড়ের
আক্রমন হলে সাইফার মেথিন গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার করতে পরেন।পাশের অনুমোদিত কীটনাশকের দোকান থেকে।
স্ট্রবেরি গাছ বেশি বড়ো হয় না তাই জায়গা লাগে কম, খরচ নাই বল্লেই চলে, যত্নও লাগে কম; শুধু ফলটা দূর্দান্ত দেখতে ও খেতে,। সিম্পলি শুরু করে দিন এবং পোস্টটি শেয়ার করুন। একবার চেষ্টা করেই দেখুন না। চেষ্ট করলে সব হয়।

হয়তো ভাপছেন চারা পাবেন কোথাই বা অনেক ঝামেলার এটা।আমি বলছি কোন ঝামেলা নাই শুধু দরকার ইচ্ছা শক্তি।চারার জন্য বিভিন্ন ফেসবুক কৃষি গ্রুপে পোস্ট দিন যে "আপনার চারা প্রয়োজন", চারা দেবার জন্য বসে আছে অনেকে।আপনার বাসাই ও পৌছো দিবে তারা। ছাদ বাগানের জন্য এটা করতে পারেন।

সৌজন্যে---------------------




















Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url