কলমি শাক ।

ছাদের টবে কলমি শাক রোপন ।

 ছাদের টবে কলমী শাক রোপন ।

.আপনি বাড়ির ছাদে বা আশে পাশে খুব সহজে লাগাতে পারেন কলমি শাক।আপনার বাড়ির রান্নার কাজ ও হলো আবার পুষ্টিকর সবজি ও পেলেন । কাজটি কিন্তু মন্দ না ভেবে দেখতে পারেন ।
কলমি শাক অত্যান্ত পুষ্টিকর ও শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন ভিটামিনে সমৃদ্ধ । এর চাষাবাদও পুঁই শাক চাষের মতো একেবারে সহজ বিষয় । একটু পরিচরজা করলে ফেলাতে পারেন কলমি শাক । আমার বাড়ির ছাদে এখন কলমী চাষ করার জন্য তৈরি হচ্ছি - ইনশাআল্লাহ দোয়া করবেন ।উৎসাহী আরো অনেকেই যেন চাষ করেন সেই আগ্রহে এর চাষ পদ্ধতি শেয়ার করলাম। তা হলে নেচে পড়ুন মন দিয়ে।
.
মাটি তৈরি:-
-------------
টবের নিচে ৩/৪ টি ছিদ্র করে নেবেন এবং তা ইটের টুকরা দিয়ে ঢেকে করে দেবেন। টবের ৫০% দোআঁশ মাটি, ৪০% শুকনো গোবর বা কম্পোস্ট সার, ৫% ছাই মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। মাটি যদি এঁটেল হয় তাহলে ৫% বালি মিশিয়ে নেবেন। ভেজানো পঁচা খৈল দিতে পারেন, টাটকা খৈল দেয়া যাবে না। এভাবে প্রস্তুতকৃত মাটি টবে ভরে পানি দিয়ে ৭-৮ দিন রেখে দিতে হবে। এরপর মাটি খুঁচিয়ে খুব ঝুরঝুরে করে নিলেই তা বীজ বপনের উপযোগী হবে।
.
চাষাবাদ:-
----------------
মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত কলমি শাক চাষে করার জন্য আদর্শ সময়। কলমি শাকের বীজ ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে টবের মাটিতে রোপন করলেই হবে । তিন বা চার দিনে চারা উঠে যাবে। সবচেয়ে ভাল হয় একটু দূর দূর বা মাদা প্রতি একসংগে ১০-১২টি করে বীজ বপন করতে পারেন । কলমি শাকে বীজ বপনের পর হালকা পানি দিয়ে দিবেন । কলমি শাক সাধারণত অর্ধজলজ উদ্ভিদ হলেও টবে কলমি চাষে কম পানি দেয়া লাগে ।
আবার কলমী শাকের অগাও লাগাতে পারেন ।বাজার থেকে কিনার পরে দেখে দেখে ভালো আগা গুলো রেখে সেগুলো লাগাতে পারেন ।
.
সার প্রয়োগ:-
---------------------
রোপণের সময় প্রয়োগকৃত সার ছাড়াও নিয়মিত জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। রাসায়নিক সার প্রয়োগ করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গাছের অবস্থা দেখে মাঝে মাঝে জৈব সার গাছের গোঁড়ার ৬ ইঞ্চি দূরে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। কলমী গাছের তরল সার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো ।
তরল সার তৈরির করার জন্য আপনাকে ২০০ গ্ৰাম সরিষার খৈল অথবা ৫০০ গ্ৰাম পরিমাণ শুকনো গোবরে ব্যবহার করতে হবে । যে ভাবে ব্যবহার করবেন ২ লিটার পানিতে পারলে ২টাই এক সাথে মিশিয়ে ২/৩ দিন রেখে দিন । এরপর ঐ তরল সার বা ঐ মিশ্রান মাদাতে প্রয়োগ করতে হবে । প্রয়োগের সময় গাছের গোড়া থেকে অন্তত ৪/৮ ইঞ্চি দূরে প্রয়োজন মাটি খুচিয়ে রেখে দিন । এই তরল সার প্রতি মাসে দুইবার প্রয়োগ করলে ফলন বেশ ভালো পাওয়া যাবে ।
.
বালাই দমন:-
----------------
জৈব বা প্রাকাতিক পদ্ধিতি ব্যবহার করে কলমীর রোগ বালাই দমন করতে পারেন অবার কীটনাশক ও ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা সেদ্ধ করে বা গাঁদা ফুলের পাতার রস দিয়ে জৈব বা প্রাকাতিক রোগ বালাই দমন করা যায়। তাছাড়া নিমের তেল স্প্রে করেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কীট পতঙ্গ দমন করা সম্ভব। বর্তমানে বাজারে সবজাগাতে নিমের তেল কিনতে পাওয়া যায় ।
কলমী গাছের গোঁড়ায় দিকে পচন দেখা দিতে পারে অনেক সময় । সেক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় শুকনো ছাই প্রয়োগ করতে পারেন । ছাই কলমী শাক ,গাছকে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে। এগুলো ছাড়াও বেশির ভাগ ,রোগবালাই থেকে আপনার গাছ বাঁচাতে চাইলে কিছু শুকনো নিমপাতা গাছের গোড়ায় দিয়ে রাখুন।

সৌজন্যে---------------------



 নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url