লেবু গাছের পাতার ক্যাংকার রোগের সমাধান।

লেবু গাছের পাতার  ক্যাংকার রোগের সমাধান:-


লেবু গাছের পাতার  ক্যাংকার রোগের





এটা সাইট্রাস জাতীয় গাছের (লেবু/কমলা/মাল্টা/বাতাবি লেবু) জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ বলা হয়ে থাকে । ব্যাক্টেরিয়াজনিত এই রোগের জীবণু মাটিতে ৮-১০ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এরা গাছের কোনো ক্ষত ও পত্ররন্ধ্র দিয়ে গাছের ভিতর প্রবেশ করে থাকে এবং মাটির নীচের অংশ ছাড়া সম্পূর্ণ গাছকে আক্রান্ত করে ফেলে এই রোগে।
.
ক্যাংকার রোগের লক্ষণ:-
১.গাছের শাখা-প্রশাখা, ফল, পাতা, ফলের বোঁটা, ডগা প্রভৃতি এ রোগে আক্রান্ত হয়;
২. প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে ছোট ছোট হলুদ দাগ পড়ে। পরবর্তীতে এই সকল দাগ একত্রিত হয়ে পুরূ ও বড় হয়;
৩. পাতার মাঝে কালো দাগ হয় বা পাতার চারিদিকে হলুদ আভা থাকে। এধরণের হলুদ আভা গাছের পাতায়ই বেশি লক্ষ্য করা যায়; এবং পাতার মাঝে কালো বা হলুদ ছোট ছোট দাগ হয়।
৪. কখনও কখনও আবার ফলের খোসায় ফাটল ও দাগ দেখা যায়। গাছের উপরের দিকের পাতা ঝরে যায়। আক্রমণ তীব্র হলে সম্পূর্ণ গাছ মরে যায়।
.
বালাই ব্যবস্থা:-
আক্রান্ত ডাল-পাতা ছাটাই করে দূরে ফেলে দিতে হবে। এরপর কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। সাথে ব্যাকট্রোবান ১ লিটার পানিতে ৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে। ব্যাকট্রোবান ও কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি ঔষধ দুইটি পর্যায়ক্রমে একটা ব্যবহার করার পর আরেকটি ব্যবহার করতে হবে।
বাগান ব্যবস্থা:-

১.প্রাথমিক পর্যায়ে, চারাগুলির সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে রোপন করতে হবে। একটি চারা থেকে অন্য একটি চারার কিছুটা দূরে রোপন করা ভালো । যাতে বাতাস গাছের কোনও অংশে কোনও ক্ষত সৃষ্টি না করতে পারে ।
২. আক্রমণ বা লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমনের জন্য ব্যবস্থা নিতে গ্রহন করতে হবে ।
৩. আক্রমণ বা লক্ষণ বেশি হলে লেবু গাছের ডাল ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৪. ছাঁটাইয়ের পর সঠিক মাত্রায় বোর্দোমিক্সার প্রয়োগ করতে পারেন ।
৫.ক্যাংকার রোগে আক্রান্ত বা মরা গাছ দ্রুত অপসারণ করে তা সমূলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

সৌজন্যে---------------------


নিচের পোষ্ট গুলি পড়তে ক্লিক করুন












Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url