গৌড়মতি আম.

 

গৌড়মতি আম.



নবী জাতের আম গৌড়মতি এর কথা না বল্লেই নয়।
নাম গৌড়মতি নামকরণ ঃ মনজুরুল হক নামে এক কৃষিবিদ, আমের এই নতুন জাতের নাম রেখেছেন 'গৌড়মতি', যা স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম প্রথম পাওয়া গেছে। সে কারণেই আমের এই নতুন জাতটির নাম 'গৌড়' এবং ' শব্দটির সাথে গৌড় থেকে 'গৌড়' শব্দটির মিল রেখে 'গৌড়মতি' নামকরণ করা হয়েছিল।
গৌড়মতি আমের বৈশিষ্ট্য ঃ এই আমের দ্রবণীয় (টিএসএস) প্রায় ২৫ শতাংশ। এই আম নবী জাতের। যদিও নবী জাতটি, অন্যান্য জাতের মতো একই সাথে কুঁড়ি আসে।
এই আমটি ল্যাংড়া বা খিরসাপাটা অর্থাৎ হিমসাগরের চেয়ে ১৮/২০% বেশি মিষ্টি।
গৌড়মতির ভোজ্য অংশ প্রায় ৯৩ শতাংশ এবং আমের অন্যান্য ভাল জাতের ভোজ্য অংশ ৭০/৮০ শতাংশ। আম পাকা হয়ে গেলে হলুদ ও সিঁদুর মিশ্রণে দারুণ লাগে। গৌরমাতি আমেতে মিষ্টি পাশাপাশি উচ্চ স্তরের খনিজ রয়েছে।
এই আমের খোসা এবং আটি দুটোই পাতলা এবং আটি ছোট তাই এই আমের ভোজ্য অংশ বেশি হয়।
ল্যাংড়া ও অশ্বিনার প্রাকৃতিক পরাগায়নের ফলে এই নতুন জাতের আমের উদ্ভাবন হয়েছে বলে মনে করা হয়। এই আম দেখতে অনেকটা ল্যাংড়া এবং অশ্বিনা জাতের মতো। অন্য কথায়, এই আম আশ্বিনার নবী জাতের বৈশিষ্ট্য এবং ল্যাংড়া থেকে বর্ণ, আকার এবং স্বাদ সহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পেয়েছে। এই আমের আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাকা আম পাওযা যায়।
প্রতিটি আমের ওজন প্রায় ৩৫0 থেকে ৬00 গ্রাম অর্থাৎ গড়ে ৩ টি আমের ওজন ১ কেজি হয়। * স্বাদ, মিষ্টি এবং গন্ধে এই আমের অতুলনীয়। * আমের বাজারের দাম প্রতি কেজি কমপক্ষে ৩৫০-৪০০ টাকা।
সাধারণত ৩ বছর লেগে যায় ফল ধরতে। ৪ বছরের একটি গাছ থেকে ২০ কেজি এবং প্রতিটি ৫ বছর বয়সী গাছে থেকে প্রায় ৩০ কেজি আম পাওয়া যায়।
এই গাছের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিটি গাছে আম ধরার পরে সেই গাছের কাণ্ড বা গোড়া থেকে ৩ গুণ ডাল ও নতুন পাতা বের হয়। ফলস্বরূপ, গাছ প্রতি বছের ফলন বেশি দেয়। এই আম চাষ করা যেতে পারে বাণিজ্যিক ভাবে। প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে আম চাষে।

ধন্যবাদ সবাইকে
ভালো থাকবেন
















Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url