লটকন ফল গাছ লাগান .
লটকন ফল(Baccaurea sapida)-----------
লটকন ফল আমাদের দেশের বিভিন্ন নাম রয়েছেঃ লটকা, লটকাউ, কিছুয়ান, ডুবি, বুবি, হাড়ফাটা ইত্যাদি।
লটকন বাংলাদেশের একটি সুপরিচিত অপ্রধান ফল। প্রধান কাণ্ড ও ডালপালা থেকে
সরাসরি ফুলের মঞ্জরী বের হয়। ছড়া জাতীয় মঞ্জরীতে এক লিঙ্গিক ফুল উৎপন্ন হয়
অর্থাৎ স্ত্রী ও পুরুষ গাছ আলাদা। নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোণা ও
সিলেট এলাকায় উল্লেখযোগ্য ভাবে এর চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন দেশে সীমিত আকারে
লটকন রপ্তানি হয়ে থাকে।
এটি পর্যাপ্ত রসালো,সুস্বাদু ও বানিজ্যিক চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী৷
ইহা বর্ষা মৌসুমের ফল৷ অন্যান্য ফল গাছ বেশি রোদ পছন্দ করলেও লটকন একটু ছায়া যুক্ত স্যাঁত স্যাঁতে জায়গা বেশি পছন্দ করে৷ তাই অনেক তরুণ ঊদ্যোক্তা বন্ধুরা আবাদের অনুপযুক্ত জমিতেও লটকন চাষ করে আজ বেকারমুক্ত হতে পারেন৷
লটকন ফলঅম্লমধুর ফল, খাদ্যমানেও সমৃদ্ধ৷
ফল খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও নিবারন হয়।
শুকনো গুঁড়ো পাতা খেলে ডায়রিয়া ও মানসিক চাপ কমায়।
নানা ধরনের পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ ফল "লটকন"
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভিটামিনের প্রাচুর্য্য রয়েছে এ ফলে৷
দৈনিক মাত্র ২-৩ টি লটকন খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সি’র অভাব পূরণ হয়ে যাবে৷
দাঁত-মাড়ি ও ত্বকের যেকোনো সমস্যার পেছনে ভিটামিন সি’র অভাবকে দায়ী করা হয়। তাই নিয়মিত লটকন খেলে এ ধরণের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
শারীরিক দূর্বলতা, বুক ধড়ফড় করা, হাত-পায়ে ব্যথা, ঠোঁট এবং পায়ের তালু ফাটা, ঠোঁট ও মুখের ঘা এবং বারবার গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভুগছেন লটকন তাদের জন্য আদর্শ পথ্য।
কোলন ক্যান্সারের মত কঠিন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে লটকন৷
পর্যাপ্ত আয়রন বা লৌহ উপাদান থাকায় দেহের রক্তশূন্যতা দূর হয়।
মাদা তৈরিঃ
১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত করে প্রতি গর্তে ১৫-২০ কেজি জৈব সার/গোবর, ৫০০ গ্রাম টিএসপি ও ২৫০ গ্রাম এমপি সার গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে ১৫দিন গর্ত ভরাট করে রাখতে হবে৷
চারা রোপণের সময়ঃ
১. বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস গাছ রোপণের উপযুক্ত সময়
২. তবে বর্ষার শেষের দিকে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও গাছ লাগানো যায়।
লটকন ফল ফল সংগ্রহের সময় ও ফলন : শীতের শেষে অর্থাৎ ফাল্গুন মাসে গাছে ফুল আসে। আষাঢ়- শ্রাবণ মাসে (জুলাই-আগস্ট) মাসে ফল পাকে। ফলের রং হালকা হলুদ হতে ধূসর বর্ণ ধারণ করলে ফল সংগ্রহ করতে হবে। কলমের গাছে সাধারণত ৪ বছর বয়সে ফল আসা শুরু হয় তবে চারার ক্ষেত্রে ফল আসতে ৮-৯ বছর সময় লাগে। অবস্থাভেদে গাছের বয়সের উপর ভিত্তি করে গাছপ্রতি ৪ কেজি হতে ১২০/১৩০ কেজি পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।
আমাদের দেশে লাটকান ফলের বিভিন্ন নাম রয়েছে - লোটকা, লোটকাউ, কিচিয়ান, ডুবি, ডুবিয়ান, বুবি,হাড়াফাতা ইত্যাদি।
এটি যথেষ্ট সুস্বাদু এবং বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য উপযুক্ত।
এটি বর্ষা মৌসুমের ফল। অন্যান্য ফলের গাছগুলি বেশি রোদ পছন্দ করে তবে লাতকান কিছুটা শেডযুক্ত, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। অনেক যুব উদ্যোক্তা বন্ধু আজও অযোগ্য পতিত জমিতে লাতকান চাষ করে বেকার সমস্য থেকে মুক্ত হতে পারেন।
লাটকান ফল একটি মিষ্টি এবং টক ফল, যা খেলে
বমি বমি ভাব দূর করে ।
শুকনো গুঁড়ো পাতা খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া এবং পেটের সমস্য কমে যায়।
নানা রকম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল "লটকান"
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে এই ফলে।
প্রতিদিন মাত্র ৩/৪ টা লটকন খেলে প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে।
যে কোনও মাড়ি এবং ত্বকের সমস্যার জন্য ভিটামিন সি এর অভাবকে দায়ী করা হয়। তাই নিয়মিত লটকান খেলে এ জাতীয় সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যারা শারীরিক দুর্বলতা, ধড়ফড়ানি, হাত ও পায়ের ব্যথা, ফাটা ঠোঁট এবং পায়ের ত্বক, ঠোঁট এবং মুখের ঘা এবং ঘন ঘন মুখ শুকনো সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য লটকান সমস্য সমাধানের উপায়।
লটকন 8 টি ক্লোন ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ায়।পর্যাপ্ত আয়রনের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং শরীরে রক্তাল্পতা দূর করে।
গর্ত তৈরি-
১মিটার প্রশস্ত এবং ১ মিটার গভীর গর্ত করুন এবং প্রতিটি গর্তে ১০/১৫ কেজি জৈব সার বা গোবর, ৫00 গ্রাম টিএসপি এবং ২৫০ গ্রাম এমপি সার মিশ্রিত করে পূরণ করুন। তার পর ১৫ দিন রেখে দিন।
চারা রোপণের সময়-
১.বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়।
২. তবে, বর্ষার শেষের দিকে, অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও গাছ লাগানো যেতে পারে।
লটকান ফলের ফল সংগ্রহের সময় এবং শীতের শেষে, অর্থাৎ ফাল্গুন মাসে । আশার-শ্রাবণ মাসে (জুলাই-আগস্ট) ফল পাকা হয়। ফলের রঙ হালকা হলুদ থেকে ধূসর হলে ফল সংগ্রহ করা উচিত। কলম গাছ সাধারণত ৪ বছর বয়সে ফল ধরে শুরু করে তবে চারা ক্ষেত্রে তাদের ফল ধরতে ৮/৯ বছর সময় লাগে। গাছের বয়স অনুসারে ফলন প্রতি গাছে ৪কেজি থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত হয়।